
ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস পেল ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি তিনটি ক্যাটাগরিতে ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ পেয়েছে। কার্ডে সর্বোচ্চ লেনদেনের জন্য “এক্সিলেন্স ইন কনজ্যুমার কার্ডস্-ডেবিট”, “এক্সিলেন্স ইন ইসলামিক ব্যাংকিং কার্ডস” ও “এক্সিলেন্স ইন ই-কমার্স পেমেন্ট” এ পুরস্কার অর্জন করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ-২০২৪ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)-এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের নিকট থেকে ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মজনুজ্জামান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও মোঃ মোশাররফ হোসেন অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ইউএস অ্যাম্বেসি ঢাকা অফিসের ফরেন সার্ভিস অফিসার জেমস গার্ডিনার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট-এর ডাইরেক্টর রাফেজা আক্তার কাšতা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন
যশোরের বেনাপোলে ভেহিক্যাল টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ স্থল বন্দরে তিনি এ টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে স্থলপথের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ বন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৪৫০ থেকে ৫০০টি বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে আগমন করে। কিন্তু বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের পর ব্যবহারযোগ্য কোনো টার্মিনাল না থাকায় অধিকাংশ পণ্যবাহী ট্রাক সড়কের ওপর অবস্থান করতো। ফলে সেখানে সার্বক্ষণিক যানজটের কারণে স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতো। নবনির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি নির্মাণের ফলে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পর এ টার্মিনালে নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বেনাপোল স্থলবন্দরের দক্ষতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে এবং আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত যানের টার্নরাউন্ড টাইম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। একইসঙ্গে বন্দরের যানজট নিরসন হবে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। উপদেষ্টা কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে দুপুরে স্থলবন্দরের কর্মকর্তাকর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। মতবিনিময় সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা স্থলবন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিকরণ, বন্দরের অভ্যন্তরে যানজট নিরসন, নতুন ওয়্যারহাউজ/শেড নির্মাণ, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইক্যুইপমেন্ট হ্যান্ডলিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দুর্নীতি নির্মূলকরণ ও বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় অংশের চেয়ে উন্নত সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বেনাপোল স্থলবন্দরে নবনির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনালটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫০০টি ট্রাক ধারণের সক্ষমতা রয়েছে। এখানে পার্কিং ইয়ার্ড, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সব সংস্থার কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য কার্গো ভবন, টার্মিনাল ব্যবহারকারীদের বন্দর সেবা ভবন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আধুনিক ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ও সিসিটিভি স্থাপন, আধুনিক মানের ওয়াশ ব্লক, ১০০ মেট্রিক টন ক্ষমতার ওয়েব্রিজ স্কেল ও ড্রেনেজ সিস্টেমসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যানজট নিরসন এবং স্থলপথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে ২০২২ সালে ৩২৯.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান ও যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম।

সাফা থেকে পুরস্কার অর্জন করল শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ সালের সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সাউথ এশিয়া ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টস (সাফা) থেকে ৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ব্যাংকটির জেএভিপি অ্যান্ড ইনচার্জ (চলতি দায়িত্ব), পিআরডি কে. এম. হারুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সার্ক অ্যানিভার্সারি অ্যাওয়ার্ড ফর কর্পোরেট গভার্নেস ক্যাটাগরিতে ১ম পুরস্কার (গ্লোড অ্যাওয়ার্ড), প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংকস ক্যাটাগরিতে ২য় পুরস্কার (সিলভার অ্যাওয়ার্ড) এবং ইন্টাগ্রেটেড রিপোর্টিং ক্যাটাগরিতে সার্টিফিকেট অব মেরিট অর্জন করেছে।গত ১১ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম এবং ব্যাংকের সিএফও মোঃ জাফর ছাদেক, এফসিএ শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. পি. নন্দলাল বীরাসিংহের নিকট থেকে উক্ত পুরস্কারসমূহ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সাউথ এশিয়া ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টসের সভাপতি হিসানা করুপ্পু-সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবি) পিএলসি’র পরিচালনা পর্ষদের ৫২১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম। এছড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা বেগম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোঃ মোরশেদ আলম খন্দকার এবং মোঃ আনোয়ার হোসেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হান্নান খান ও মোঃ নাজমুস সায়াদাত এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোঃ নাজমুল আহসান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা।

আমন ধান এলে চালের দাম কমবে: আলী ইমাম মজুমদার
বাজারে আমন ধান এলে চালের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সমন্বয় সভাশেষে তিনি এ কথা জানান। খাদ্য উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ১৭ নভেম্বর রোববার থেকে আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। এ বছর সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান এবং এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, গত বছর চাল ক্রয় করা হয়েছিল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা এবার তিন টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকায়। আর ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল ৩০ টাকা কেজি এবার ৩৩ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার আমদানি করা হবে দেড় লাখ টন ধান ও গম আমদানি করা হবে। ফলে বলা যায় বাজারে আমন ধান এলে চালের দাম কমতে শুরু করবে। তিনি বলেন, খাদ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। তাই দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ বাড়াতে ইতোমধ্যে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর প্রভাবও পড়বে দামে। ধান-চাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এবার বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামসহ আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা দরে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪৭ টাকা দরে সাড়ে ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এছাড়া ৪৬ টাকা দরে এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ও সিদ্ধ চাল আর আতপ চাল ২০২৫ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে নিজেও চাপে আছি বললেন খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য ক্রেতা হিসেবে নিজেও চাপে আছি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খাদ্য ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত, নিজে বাজার করে খায়। আমি নিজেও মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে আছি। তবে, নতুন ধান ও সবজির সরবরাহ বাড়লে বাজারে স্বস্তি আসবে।’এসময় তিনি আরও বলেন, আমন ধান উঠলে ও শীতের সবজি ভালো করে বাজারে আসলে আশা করি বাজার পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।চালের দাম বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিগুলো দায়ী কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে উপদেষ্টা জানান, কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে বাজারে চালের দামে। চাল আমদানির জন্য ইতিমধ্যে দেড় লাখ টনের এলসি খোলা হয়েছে।তবে সরকার কারসাজির বিষয়ে সর্তক রয়েছে। চালের দাম বাড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেন খাদ্য উপদেষ্টা।এদিকে এবার আমন ধান চাল সংগ্রহ শুরু হচ্ছে আগামী রোববার থেকে। ধানের দাম ৩ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা ও চালের দাম ৪৭ টাকা নির্ধারণ করা করেছে সরকার।
.jpeg)
৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেল সাত ব্যাংক
গত এক মাসে দুর্বল সাতটি ব্যাংকে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। যদিও তা দুর্বল ব্যাংকগুলোর চাহিদার চেয়ে কম। যেসব ব্যাংক তারল্যসংকটে রয়েছে, তাদের আরও সহায়তা দিতে অন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে ঋণ দিচ্ছে সবল ব্যাংকগুলো। এতে আর্থিকভাবে কিছুটা সংকট কাটিয়ে উঠছে তারল্য সংকটে পড়া দুর্বল ব্যাংকগুলো।ইসলামি ব্যাংক সবচেয়ে বেশি তারল্য সহায়তা পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাতটি ব্যাংক থেকে ইসলামি ব্যাংক তারল্য পেয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক ৬টি ব্যাংক থেকে ১ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক ছয় ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক পেয়েছে ২৯৫ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক ৯২০ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৭০০ কোটি ও ইউনিয়ন ব্যাংক ৪০০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে।দুর্বল এসব ব্যাংককে সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে সোনালী ব্যাংক, যার পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া সিটি ব্যাংক ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, পূবালী ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৪০০ কোটি টাকা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ৪০০ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২২০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০ কোটি টাকা।এদিকে, গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সময় আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকে আরও বেশি অর্থ সহায়তা দিতে সবল ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানান তিনি।এর আগে, গত ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, অর্থ সংকটে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা করা হয়েছে। সব ব্যাংকই সময় অনুসারে গুরুত্ব সহকারে সংস্কার করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর মধ্যে ইসলামি ব্যাংকগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রামে এলো পণ্যবাহী জাহাজ
পাকিস্তানের করাচি থেকে সারাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এই প্রথম করাচি থেকে সরাসরি কার্গো ভেসেল চট্টগ্রামে এলো। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। হাইকমিশন বলছে, করাচি থেকে সারাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগকে চিহ্নিত করেছে। এই যাত্রা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তুলে ধরেছে। ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ সরাসরি শিপিং রুটটিকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলে আরও সমন্বিত ও বাণিজ্য নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন। হাইকমিশনার বলেন, এই উদ্যোগটি কেবল বিদ্যমান বাণিজ্য প্রবাহকে ত্বরান্বিত করবে না বরং ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রপ্তানিকারকদের উভয় দিকের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগের প্রচার করবে।

ইসলামী ব্যাংক কাঁচপুর শাখা স্থানান্তর
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর কাঁচপুর শাখা, হাবিবুল্লাহ টাওয়ার, কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন স্থানে শাখার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম. কামাল উদ্দীন জসীম ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম মাহবুব মোরশেদ। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান মোঃ মিজানুর রহমান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সমাজসেবক মোঃ আবদুল জব্বার, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কাঁচপুর শাখাপ্রধান মুহাম্মদ নাজমুল হাসান। এ সময় শাখার কর্মকর্তা, গ্রাহক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে নতুন ডিএমডি নিয়োগ
বিশিষ্ট ব্যাংকার কাজী মাহমুদ করিম আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।বুধবার (১৩ নভেম্বর) ব্যাংকটির হেড অব পাবলিক রিলেশন্স জালাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমডি পদে পদোন্নতি পাওয়ার আগে কাজী মাহমুদ করিম ২০১৯ সাল থেকে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি ইস্টার্ন ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং প্রাইম ব্যাংকের পাশাপাশি প্রাইম এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিঃ সিঙ্গাপুরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। কাজী মাহমুদ করিম বিসিসিআই ব্যাংকে ১৯৮৯ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর ব্যাংকিং কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে প্রধান কার্যালয় ও শাখা পর্যায়ে তাঁর রয়েছে অপার অভিজ্ঞতা।তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বহু প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন।কাজী মাহমুদ করিম মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি এবংঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন।

ট্যাক্স কমিয়েও নিত্যপণ্যের দাম কমানো যাচ্ছে না বললেন অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাজারে এমনভাবে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে যে, ট্যাক্স কমিয়েও নিত্যপণ্যের দাম কমানো যাচ্ছে না।বুধবার (নভেম্বর ১৩) পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘পিকেএসএফ দিবস ২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থায়ন’। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর রহমান। পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মানুষ বলছে পণ্যের দাম কমছে না, অথচ এনবিআর অনেক সুবিধা দিয়েছে। ট্যাক্স কমিয়ে দিলাম তারপরও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে বললাম, বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্ট আছে। বাজারে গিয়ে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। ৫০০ টাকা নিয়ে গেল দু-মুঠো শাক ও অন্যান্য কিছু কিনলেই টাকা শেষ হলো। আমি চেষ্টা করছি বাজারে পণ্যের দাম কমানোর জন্য।তিনি বলেন, আমরা চলে গেলেও মানুষ মনে রাখবে। কারণ আমরা ভালো কাজ করেছি। মানুষ বলবে স্যার আপনি ওখানে ছিলেন আপনি অমুক কাজ করছেন। অনেকে আমাদের ধন্যবাদ দেয় যে, স্যার আপনি ট্যাক্সের অমুক কাজটি ভালো করেছেন। বন্ডের ট্যাক্স তুলে দেওয়ায় মানুষ আমাদের অনেক ভালো বলে। সঞ্চয়পত্রেও আমরা ভালো করেছি। এখন সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ হচ্ছে। ভালো জিনিস যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততোই মঙ্গল।আক্ষেপ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভালো প্রতিষ্ঠানের বড্ড অভাব। বিল্ডিং আছে কিন্তু মানুষ নেই, সেখানে স্বচ্ছতার অভাব জবাবদিহিতার অভাব। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলি যে, তুমি এটা দেখ।ভারতে ইলিশ রপ্তানিকে ইতিবাচক ব্যাখ্যা করে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার ছোট ভাই ফোন দিয়ে বলে ভাই ইলিশ মাছ দিয়ে দিলেন ফেসবুকে আপনাকে গালি দিয়ে ভরে দিচ্ছে। আমার কিন্তু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নাই। একটা সিজনে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হয় ভারতে দিলাম মাত্র ৩ হাজার টন। অনেকে বলছে ভারতে ইলিশ দেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত।’সারা বিশ্বে আমাদের বিষয়ে সবাই ইতিবাচক মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দিকে কেউ মুখ বাঁকা করছে না। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ সভায় গেলাম, ৭ থেকে ৮ দিন ছিলাম, সবাই আমাদের বিষয়ে ইতিবাচক। সভা করতে করতে আমরা হয়রান হয়ে গেছি। সবাই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিছু শর্ত থাকে, তবে শর্ত কঠিন নয়। প্রত্যেকে হাত বাড়িয়েছে।দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে। দেশের কৃষক মজুর ও পোশাক শ্রমিকের অবদানের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মানুষের সঙ্গে মিলে মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবো। আমরা দায়িত্ব পালন করছি। আমরা শর্ট টার্ম সংস্কার করবো লং টার্ম সংস্কার করবো না। লং টার্ম সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা চাইলেই সব কিছু পারি না, আমাদেরও কিছু বাধা আছে।অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ’র সহযোগী সংস্থার প্রধান নির্বাহী, পিকেএসএফ’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ’র কার্যক্রম বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।কর্মসৃজনের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০-এর দশকে একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্যোগ নেয়। কয়েক বছর ধরে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে মতবিনিময় এবং বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত হয়। ১৯৮৯ সালের ১৩ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এ প্রস্তাবনা অনুমোদনের মাধ্যমে পিকেএসএফ গঠিত হয়। সে অনুযায়ী ১৩ নভেম্বরকে ‘পিকেএসএফ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, জাপানের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে। এটা বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দেবে। আজ মঙ্গলবার বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা একথা বলেন।সাক্ষাৎকালে তাঁরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট ও দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। উপদেষ্টা বলেন,বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। জাপানের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। শেখ বশির উদ্দিন বাংলাদেশ জাপানের সম্পর্ককে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসের মানদন্ডে উন্নীত উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। সুশাসন নিশ্চিত করে সরকার সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন,বাংলাদেশের সাথে জাপানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্যবস্যা বাণিজ্য সম্প্রসারনের মধ্যে দিয়ে সেই বন্ধুত্ব আরো নিবিড় হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই বাণিজ্য সুবিধা উপভোগ করতে পারে।এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি.-এর পরিচালনা পর্ষদের ৪০১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আজিজ।সভায় অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান কামাল মোস্তফা চৌধুরী, পরিচালক অশোক কুমার সাহা, ফিরোজুর রহমান, এস. এ. এম. হোসাইন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামসুল আলম, গুলজার আহমেদ, মো. জাহেদুল হক, ফেরদৌস আলী খান, এ কে এম আবদুল আলীম, মো. আবুল হোসেন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ।সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, এফসিএস।

সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ব্যাংকে ফিরলো ১৪ হাজার কোটি টাকা
বিগত সরকারের শাসনামলে সবচেয়ে বড় সংকটে ছিল ব্যাংক খাত। নামে-বেনামি ঋণ বিতরণ ও ইচ্ছকৃত খেলাপি হওয়া, বিদেশে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার, ব্যাংক পরিচালকদের অনিয়মের কারণে ব্যাংকে খাতের প্রতি আমানতকারীদের আস্থা তলানিতে নেমে যায়। এর ফলে চরম তারল্য সংকট দেখা দেয় এক ডজনের বেশি ব্যাংকে। সেই দুর্বল ব্যাংকগুলো এখনো গ্রাহকের আস্থা টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এতো সংকটের মধ্যেও নতুন গভর্নরের নেয়া পদক্ষেপের কারণে ব্যাংক খাত থেকে তুলে নেয়া নগদ টাকা আবারও ব্যাংকে রাখতে শুরু করেছেন আমানতকারীরা। গত দুই মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাংকে ফিরেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর থেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিজের কাছে রাখার প্রবণতা হঠাৎ বেড়েছিল। এ প্রবণতা ব্যাংকগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেয়া কিছু পদক্ষেপের কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু কারণে মানুষের হাতে গত দশ মাস টাকা বেড়েছিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা, দুই ঈদের বাড়তি খরচ, ব্যাংক মার্জের খবর এবং জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের প্রভাবে অনেকে টাকা তুলে নিয়েছিল। তাই ব্যাংকের বাইরে টাকা বেড়েছিল। তবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নানা উদ্যোগে স্থিতিশীলতা ফেরায় ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর শেষে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় ছিল ৫১ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। বাকি অর্থের ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোর ভল্টে এবং ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ছিল মানুষের হাতে। অক্টোবর শেষে প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ এক হাজার ৮১ কোটি টাকা।যদিও গত আগস্ট শেষে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় ছিল ৩৫ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। বাকি অর্থের ২৩ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোর ভল্টে এবং ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকা মানুষের হাতে ছিল। তবে ১৫ আগস্ট তা ছিল ৩ লাখ ১ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। আগস্ট শেষে প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই মাসে মানুষের হাতে থাকা ১৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে সাধারণত প্রতি মাসে আগের মাসের তুলনায় আমানত বাড়ে। তবে, জুলাই ও আগস্ট মাসে আমানত বাড়ার বদলে উল্টো কমে গেছে।চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে আমানত ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, দুই মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছিল প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য ব্যাংক খাত সংস্কারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানান পদক্ষেপের কারণে সেপ্টেম্বরে গ্রাহকদের ব্যাংক থেকে ডিপোজিট তুলে নেওয়ার প্রবণতা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।গত বছরের অক্টোবরে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। পরের মাস নভেম্বরে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা, ডিসেম্বরে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি, জানুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি, মার্চে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, মে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, জুনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি, জুলাইয়ে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকায়।এদিকে সেপ্টেম্বরে ব্যাংক খাতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৯ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা বেড়ে ১৭ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যদিও আগের মাস আগস্টে মোট আমানত ১৭ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকায় নেমে আসে, যা ছিল জুলাইয়ের তুলনায় ০.১৬ শতাংশ কম। তবে আগের বছরের তুলনায়, আগস্টে আমানত প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৭.০২ শতাংশে, যা ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড ৬.৮৬ শতাংশ সর্বনিম্নে পৌঁছেছিল এই প্রবৃদ্ধি।

খাদ্য মজুদ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য: খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য মজুদ বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ৫০ হাজার আহতদের সুস্থতা কামনা করেন খাদ্য উপদেষ্টা ।উপদেষ্টা তাঁর বক্তৃতায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সকল সমস্যা চিহ্নিত করে সে চ্যালেন্জ মোকাবেলা করাসহ আমদানি প্রক্রিয়াকে চলমান রাখার তাগিদ দেন। এ সময় তিনি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংশা করেন।আলী ইমাম মজুমদার ৫ আগষ্টের পটভূমিকে সামনে রেখে কর্মকর্তাদের কাজ করার তাগিদ দেন। উপদেষ্টা বলেন, বড় ধরণের কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে খাদ্য সংকট মোকাবেলা করা কঠিন হবেনা। এছাড়া খাদ্য আমদানিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে । চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আমদানি অব্যাহত রয়েছে। কিছু চুক্তিও হয়েছে। খাদ্য ব্যবস্থাপনার সরকারি পর্যায়ে সরবরাহ বাড়ালে দাম সহনীয় থাকবে। মতবিনিময় সভার শুরুতেই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি এবং ভিশন ও মিশন উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাসুদুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানালেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা
'পাটের অতীত ঐতিহ্য ও ইতিহাস আছে। এর সম্ভাবনার কোন ঘাটতি নেই। পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। দেশ উপকৃত হলে আমরা সবাই উপকৃত হবো। পাটের ঐতিহ্য পুনর্জাগরণে এবং দেশের স্বার্থে সবাইকে স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে কাজ করতে হবে। 'আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একথা বলেন।সভার সভাপতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফ তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপদেষ্টার নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সভার শুরুতে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন অতি. সচিব এএনএম মঈনুল ইসলাম। এসময় অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা,অতি. সচিব সুব্রত শিকদার, অতি.সচিব আরিফুর রহমান খান, যুগ্মসচিব রায়না আহমদ,উপসচিববৃন্দসহ ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে শপথ নেন শেখ বশিরউদ্দীন। পরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ উপদেষ্টা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তাঁর প্রথম কার্যদিবসে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করেন।

শাস্তি না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দুষ্কৃতিকারী হয়েছে বিএসইসি: মমিনুল ইসলাম
আমরা অতীতে দেখেছি, আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা দুষ্কৃতিকারীদেরকে শাস্তি না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগী হয়েছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারাও দুষ্কৃতিকারী হয়েছেন। যারফলেএবাজারথেকেযারাপুঁজিসংগ্রহকরবেনবাপুঁজিজোগানদেবেনতারাআশাহারিয়েছেন। একইসঙ্গে আমাদের পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে যে কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা ছিল তা রাখতে পারেনি বলে জানিয়েছেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের বাজার মূলধন এবং জিডিপির অনুপাত এই মুহূর্তে ৮ শতাংশের নিচে। যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তী কিছু দেশ বিশেষ করে পাকিস্তানের প্রায় ১০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কাতে ১৫ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়াতে ৪৪ শতাংশ এবং ভারতে এটির পরিমাণ ১২০ শতাংশ। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমরা একটি পরিবর্তনের সুবাতাস পাচ্ছি। আমরা এমন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের একটি বিরল সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। রেগুলেটরি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। অতীতের অনিয়ম ও দুর্নীতিগুলো তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফলে আমরা আশাবাদী যে একসঙ্গে কাজ করলে এই মার্কেটের বর্তমান দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।তিনি বলেন, মার্কেট নিয়ন্ত্রণে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের অভ্যন্তরীণ দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। সেবা প্রদানের যে দায়বদ্ধতা সেটি নির্ধারণ করার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসন এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।মমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি রেগুলেটরি মার্কেটের দৈনন্দিন কার্যক্রমে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের বাজার ব্যবস্থায় স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ভূমিকা কি হবে সেটা নির্ধারণ করার সময় এসেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আঞ্চলিক সফল মার্কেটগুলো রয়েছে সেগুলোর অভিজ্ঞতা অনুসরণ করতে পারি। এই মুহূর্তে মার্কেট দুর্বল অবস্থায় আছে। ফলে স্বল্প সময়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেটি ভাবতে হবে।সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন বলেন, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যেখানে আমাদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে পারস্পরিক পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে সেটি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তবে হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা দেখতে পাচ্ছি পরিবর্তনের বাতাস বইতে শুরু করেছে। আশা করি সবার চেষ্টায় নতুন একটি গল্প আমরা তৈরি করতে পারব। যেখানে একটা শক্ত, সক্ষম, কার্যকর ও স্বচ্ছ শেয়ার মার্কেট আমরা উপহার দিতে পারব।অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ চার শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আমরা টাকা ছাপাচ্ছি না: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আমরা টাকা ছাপাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত (গত ৩ মাসে) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু দেওয়া হয়নি এবং হবে না। গত ১৫ বছর ধরে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে এখন কেনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।গভর্নর বলেন, গত সপ্তাহে সার কেনার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। আমরা জানি, ব্যাংকগুলো লিকুইড মানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করবে। আমরা সেটার বিপরীতে ৫ হাজার কোটি টাকার ইকুইভ্যালেন্ট বন্ড ইস্যু করে টাকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাক্রো স্টেবেলিটি। এটা না হলে মূল্যস্ফীতি নিযন্ত্রণে আসবে না। আমাকে এই ফাইট করতে হচ্ছে।তিনি বলেন, বেক্সিমকো সচল রাখতেই প্রশাসক দেওয়া হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, বেক্সিমকোকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকমাস ধরেই বেক্সিমকোর বেতন-ভাতা সরকার থেকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এবাবে চলতে পারে না। কোম্পানিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্সিম ব্যাংককে গত মাসে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে যেন শ্রমিক অসন্তোষ না হয়। অধৈর্য হয়ে লাভ নেই।বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর,ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ প্রায় চার শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

জীবনযাত্রাকে সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টার
সামগ্রিকভাবে দেশের জনগণের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন নতুন দায়িত্ব নেওয়া বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।আজ সোমবার সকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এর কাছে শপথ নেন শেখ বশির উদ্দিন। পরে শেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ ছিল উপদেষ্টা হিসেবে মন্ত্রণালয়ের তাঁর প্রথম কার্যদিবস।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন,মুদ্রাস্ফীতির ফলে আমাদের টাকার অংকে যেটা বেড়েছে,ক্রয় ক্ষমতা সেভাবে বাড়েনি বরং ক্রয় ক্ষমতা কমেছে।আমরা যদি একজন শ্রমিকের দিকে দেখি তাহলে তার জীবনমানের মধ্যে কম্প্রোমাইজ চলে এসেছে। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আমি আপনাদের কাছে কোন ম্যাজিক প্রত্যাশা করছিনা।আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করবো।আপনারা আমাকে সহযোগী হিসেবে পাবেন।আপনাদের কাজকে আরো কার্যকর করার জন্য ইনসাফের সাথে আমার সক্ষমতা অনুযায়ী চেষ্টা করবো।তিনি বলেন, আমরা যদি ব্যবসা- বাণিজ্য বাড়াতে পারি,আমাদের সর্বোচ্চ দক্ষতার প্রয়োগ ঘটাতে পারি তাহলে ভালো করা সম্ভব।আমি কর্মকর্তাদের কাছে অতিরিক্ত পরিশ্রম প্রত্যাশা করি।কর্মকর্তাদের সাথে তিনিও পরিশ্রম করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন,অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী মোজাম্মেল হকঅতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ , বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহা পরিচালক মো: আব্দুর রহিম খান, অতিরিক্ত সচিব ডাব্লিউটিও অনুবিভাগ ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকের নবনিযুক্ত সিকিউরিটি গার্ডদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন
ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ)- এর উদ্যোগে নতুন যোগদানকৃত সিকিউরিটি গার্ডদের ‘পেশাগত দক্ষতা অর্জন, প্রশিক্ষণ ও পরিচিতি কর্মসূচি’ বিষয়ক দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম রবিবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও আইবিটিআরএ-এর প্রিন্সিপাল কে.এম. মুনিরুল আলম আল- মামুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিনুর রহমান।এসময় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মিয়া ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ সাইদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। ১৪১ জন প্রশিক্ষণার্থী দিনব্যাপী এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।

এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫২৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এনসিসি ব্যাংক ভবনের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিমের সভাপতিত্বে ভাইস চেয়ারম্যান এ.এস.এম মাঈনউদ্দীন মোনেম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসেন, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজীনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দীন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মীর সাজেদ উল বাসার এফসিএ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মো. মাহবুব আলম, মো. রাফাত উল্লা খান, মো. মনিরুল আলম এবং মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সভায় বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাবনাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা ও অনুমোদন করা হয়।

আরো সংখ্যক বেশি দেশের সাথে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করবে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিবে বাংলাদেশ। হুট করে এটা হবেনা।যৌক্তিক সময়ে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই উত্তরণ হবে বাংলাদেশের স্বার্থে,জনগণের স্বার্থে।বাংলাদেশ - সিঙ্গাপুর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের আলোচনার সূচনা শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করার প্রক্রিয়া হুট করে বাস্তবায়ন করবে না সরকার। সময় নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।তিনি বলেন, স্বাচ্ছন্দ্যে উত্তরণ করা যায় এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই বিষয়টি দেখা হবে। ড. সালেউদ্দিন বলেন, যত বেশি দেশের সঙ্গে সম্ভব, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করবে সরকার।বিশেষ করে জাপান,ইন্দোনেশিয়া,ইন্ডিয়ার সাথে চুক্তি করবো। এছাড়া আসিয়ানে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা মালয়েশিয়ার সাথে ও কাজ করবো। ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য নিয়ে সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকে।তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা দরকার, এ বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে যোগ করেন উপদেষ্টা।উপদেষ্টা আরো বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি ।আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে, বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এ আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়–সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। এর আগে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড সালেহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
.jpeg)
আজ থেকে তেজগাঁওসহ ১৩ স্পটে কম দামে বিক্রি হবে ডিম
রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারসহ দুই সিটি করপোরেশনের ১৩টি স্থানে আজ থেকে উৎপাদক থেকে ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম সরবরাহ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উদ্যোগে এবং দুই সিটি করপোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুই সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চলবে।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তেজগাঁও বাজার, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট (মোহাম্মদপুর) ও উত্তরা-১০ (খামারপাড়া রোড) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাপ্তান বাজার, নিউ মার্কেট, খিলগাঁও, জুরাইন, কোনাপাড়া সারুলিয়া, শনিরআখড়া ও চিটাগাং রোডসহ মোট ১৩টি স্থানে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রি হবে।এর মধ্যে তেজগাঁও বাজার ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন সাড়ে ছয় লাখ করে মোট ১৩ লাখ এবং অবশিষ্ট ১১টি বাজারে মোট ৭ লাখ ডিম সমানুপাতিক হারে বন্টন করে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হবে বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জানিয়েছে।ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও করপোরেট), এজেন্ট-ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট দফতর সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এর আগে ৬ নভেম্বর ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিম সরবরাহ করার সিদ্ধান্তর পাশাপাশি চাহিদা কম থাকাকালীন ডিম সংরক্ষণের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ডিম সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কাজ সম্পর্কে আলোচনা হয় বলে অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান সাংবাদিকদের জানান।এছাড়া গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ‘বাজার অস্থিরতার কারণ নিয়ে’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে কম দামে ডিম বিক্রির কথা জানান ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।তিনি বলেন, রোববার থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ছয়টি ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সাতটি স্থানে উৎপাদক থেকে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম বিক্রি শুরু করা হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের সরাসরি বাজারে যুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তেল, ছোলা, খেজুর, সেমাই, চিনি, ডাল, কীভাবে আনা যায় এবং শুল্ক কমানো ও আমদানি উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলেও জানান আলীম আখতার খান।
.jpeg)
এবারও রোজায় ঢাকায় খেজুরসহ ৫ পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
আসন্ন রমজান মাসে ঢাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে ৫টি এবং ঢাকার বাইরে ৪টি পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এজন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নিয়েছে সংস্থাটি। রমজানে পণ্য সরবরাহে কোনও ঘাটতি হবে বলে জানিয়েছেন টিসিবির মুখাপাত্র হুমায়ূন কবির।শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।টিসিবির মুখপাত্র বলেন, ট্রাকের মাধ্যমে সারাবছর ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চিনি বিতরণ করা হয়। এর বাইরে রমজানে ঢাকায় ছোলা ও খেজুর দেয়া হবে। আর ঢাকার বাইরে ৩ পণ্যের সাথে বাড়তি ছোলা বিতরণ করা হবে।এসব পণ্য সংগ্রহে টেন্ডার ও দরপত্র চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। স্বচ্ছতার জন্য জানুয়ারি থেকে ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ করা হবে।রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ডিসিদের রদবদল এবং কাউন্সিলাররা কার্যালয়ে না থাকায় তদারকি কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন হুমায়ূন কবির। ডিলারদের অনিয়মের বিষয়েও তদন্ত করার কথা বলেছেন তিনি।