
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কাজে ফিরেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে এসেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শনিবার (৮ মার্চ) রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানায়। রবিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন। আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসি কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, আজ সকাল থেকেই বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন। তবে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা কেউই অফিস করছেন না। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কর্মবিরতি পালন করেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগেরদিন বুধবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয় বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। গত ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন; সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান। মামলার আসামিরা হলেন—বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান (৫৮), নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭) ও রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), আল ইসলাম (৩৮), শহিদুল ইসলাম (৪২), ও তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), রায়হান কবীর (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (৩০) ও আব্দুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ (২৯)।

দাম কমেছে স্বর্ণের
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা। শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। রোববার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ মার্চ দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৫৫৭ টাকা বাড়ানো হয়। তার আগে ২৪ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ২ মার্চ টানা তিন দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়।

‘বিসিসিএমই নির্বাচন-২০২৫’, বিপুল ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত আতিকুর রহমান
বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন (বিসিসিএমইএ) -এর দ্বিবার্ষিক ২০২৫-২০২৭ নির্বাচনে চারকোল শিল্পরক্ষা ও সংস্কার পরিষদের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ বিজয়লাভ করেছে। ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সব কয়টিতে আতিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘চারকোল শিল্পরক্ষা ও সংস্কার পরিষদ’-এর প্রার্থীরা জয়ী হয়। অপর দিকে মি. জয় হোসাইনের নেতৃত্বাধীন বৈষম্যবিরোধী সমন্বিত চারকোল পরিষদের কোন প্রার্থী জয় লাভ করেননি। আজ শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকাস্হ ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন ( খোকন ) ফলাফল ঘোষনা করেন। অন্য নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ জনাব মহসিন কবির এবং এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও উপস্থিত ছিলেন। অত্র নির্বাচনে সভাপতি পদে আতিকুর রহমান; সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, মেহেদী হাসান জুলিয়াস ও হাবিব এ হাসান রাজ নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া অর্থ সম্পাদক পদে শাহরিয়ার ইবনে ইব্রাহিম তুষার এবং কার্য নির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন খোকন; তালুকদার সামসুল আলম লিটন; মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান; হোসাইন আহমেদ চৌধুরী; এ এম আলমগীর কবির ও সাহাদাত হোসেন উজ্জল নির্বাচিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চারকোল শিল্প রপ্তানিমুখী খাত হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিএসইসির কমিশনকে অবরুদ্ধ: অপরাধীদের শাস্তির দাবি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংস্থাটির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন। শনিবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং এসোসিয়েশন সভাপতি এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সই করা এক প্রতিবাদলিপিতে এই নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন মনে করে, সরকারী কর্মচারীদের এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রচলিত আইন বিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি কর্মচারীদের যেকোন যৌক্তিক দাবী ও অভিযোগ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের প্রতি অনুগত থেকে পেশ করা উচিত। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না গেলে রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’ এতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধিকে অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারি ভবন ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ ও আক্রমণ করায় সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।’

বিএসইসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে সব অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ আনা হল
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এরইমধ্যে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে বিএসইসির চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ও কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে কমিশনের নির্ধারিত সভাকক্ষে সভা চলছিল। এ সময় কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কমিশনের সভাকক্ষে জোরপূর্বক ঢুকে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন। এরমধ্যে কেউ কেউ কমিশনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, কমিশনের লিফট বন্ধ করে দেয়। এমনকি বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হামলা শুরু করে। কমিশন চেয়ারম্যানের ওপর বারবার আক্রমণ করতে যান তারা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামীরা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে ও এসির রিমোট চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে এবং বিভিন্নভাবে পেশি শক্তির মাধ্যমে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। একই সঙ্গে তারা কমিশনের চেয়াম্যানের একান্ত সচিব (সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে লাঞ্চিত করে। আসামীরা কমিশনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ প্রত্যাহার করতে বলে। কমিশনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ দর্শানোর আদেশ প্রত্যাহার করতেও বলে। গঠিত তদন্ত কমিটি রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার দাবিতে সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারি অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে ও সরকারি কাজে বাধা দেয়। এজাহারে বলা হয়, ‘বিগত দিনের পুঁজিবাজারের অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসি পুঁজিবাজারে অভিজ্ঞ পাঁচ জনের সমন্বয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির অনিয়ম সংক্রান্তে জড়িত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কমিশন সেই অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও রিপোর্টের সুপারিশের সূত্রে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নেয়। তারই অংশ হিসেবে কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। কমিশনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় কমিশন তাকে চাকুরি থেকে অবসর দিয়েছে।’ মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান আছে। সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম, নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুব-উর-রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক এস কে মো. লুৎফুল কবির ও যুগ্ম পরিচালক মো. রশীদুল আলমের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ পুঁজিবাজারে লুটপাটের সহায়তা করে অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এরই ফলে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদেরকে অবরুদ্ধ করে বিভিন্ন অশোভন স্লোগান, অকথ্য ভাষা ব্যবহার এবং পেশি শক্তির মাধ্যমে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এ ভীতিকর পরিস্থিতি প্রায় ৪ ঘণ্টা চলে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা অবরুদ্ধ থাকার খবরে ও বিএসইসি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রথমে পুলিশ ও পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বিএসইসিতে অবস্থান নিয়ে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় বিএসইসির উশৃঙ্খল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অরাজকতা চালায়। যার মাধ্যমে পুঁজিবাজার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র লক্ষ্য করা যায়।বিজ্ঞাপন এ ব্যাপারে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আজম বলেন, ‘গত রাতে মামলাটি হয়েছে। এটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তদন্তকাজ চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এক টাকায় বাইক জেতার সুযোগ দিচ্ছে রিভো
রমজান উপলক্ষ্যে ১ টাকায় বাইক জেতার সুযোগসহ বিভিন্ন অফার দিচ্ছে বৈশ্বিক ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রিভো বাংলাদেশ। ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় এই অফারের নাম দেয়া হয়েছে ‘১ টাকা মিরাক্যাল মোমেন্টস'। এখন থেকে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত এই অফারটি চলবে। এই অফারের আওতায় যে কোনো একটি রিভো ইলেকট্রিক বাইক কিনলে তিনটি স্ক্র্যাচ কার্ড পাবেন ক্রেতা। যেখানে ১ টাকায় রিভো এ১০ বাইক জেতার সুযোগ পেতে পারেন গ্রাহক। এছাড়াও রয়েছে ১০ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক অথবা স্মার্টওয়াচ, টিডব্লিউএস এয়ারবার্ডসসহ আরো অনেক পুরস্কার জেতার সুযোগ। এছাড়াও রিভো বাইক কিনতে কোনো বন্ধু-স্বজনকে রেফার করলে রেফারকারী ব্যক্তিও একটি স্ক্র্যাচ কার্ড পাবেন। যেখানে তিনি ৫ হাজার টাকার স্বপ্নের গিফট ভাউচার জেতার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও শোরুম পরিদর্শনে আসা ব্যক্তিদের জন্যও বিশেষ আর্কষণ রেখেছে রিভো। রিভো যে কোনো শোরুম পরিদর্শন করে রিভোর ইনস্ট্রাগ্রাম, টিকটক ও ইউটিউবে লাইক ও ফলো দিয়ে আকর্ষণীয় এই পুরস্কার পেতে পারেন পরিদর্শনকারী ব্যক্তি। দেশব্যাপী রিভোর যে কোনো শোরুম থেকে রোজার এই অফারটি নিতে পারবেন গ্রাহকরা। বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন: www.revoo.com.bd

লেবুর হালি ১২০ টাকা, চড়া দাম শসা-বেগুনেরও
পবিত্র রমজানে ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ লেবু। রোজার আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী পণ্যটির দাম। হালিতে বেড়েছে কয়েকগুণ। তুলনামূলক ছোট আকারের লেবু কিনতে গিয়েও চোখে পানি ঝরছে ক্রেতাদের। সেইসঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শসা ও বেগুনও। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। কোথাও কোথাও সেটি চাওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা পর্যন্ত।ক্রেতারা বলছেন, ‘ইফতারিতে বহুল ব্যবহৃত একটি পণ্য লেবু। সিন্ডিকেট করে সেটির দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। রোজার মাসেও তাদের দৌরাত্ম্য কমেনি।’মোস্তফা নামেক্রেতা বলেন, ‘এক পিস লেবুর দাম কীভাবে ২৫ টাকা হয়! এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটছেন।’খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ‘লেবুর সংকট ও চাহিদা থাকায় দাম কমেনি।’ রাজধানীর কারওয়ানবাজারের লেবু বিক্রেতা জাকের বলেন, ‘মোকামেই লেবুর দাম বেশি। পাইকারিতে লেবু কিনতে হচ্ছে ১০-১৫ টাকা পিস। খুচরায় সেটি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত।’আরেক ব্যবসায়ী স্বাধীন মিয়া বলেন, ‘লেবুর দাম বাড়তি থাকায় কমে গেছে বেচাকেনাও। মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনছেন। দামও বলছেন কম। অনেকেই হালি বলছেন ৩০-৪০ টাকা। তবে এই দামে কিনতেও পারিনি।’খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর কারওয়ানবাজারের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকায়। আর ১০০ পিস লেবু বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১১০০ টাকায়।লেবু ব্যবসায়ী হাসিব বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে লেবুর ফলন কম হয়েছে। এতে কিছুটা সংকট দেখা দেয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া রমজানের বাড়তি চাহিদাও রয়েছে।’এদিকে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন ও শসাও। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। আর বেগুন প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়, যা কোথাও কোথাও চাওয়া হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।

বেক্সিমকোর শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে ৫২৫ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর
শ্রম ও কর্মসংস্থান ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের প্রচেষ্টায় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সহযোগিতায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র ৮ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের লক্ষ্যে সরকার ৫২৫.৪৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাননীয় উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অভিপ্রায় অনুসারে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কো. লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ওসমান কায়সার চৌধুরীর নিকট উক্ত ৫২৫.৪৬ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। আগামী রবিবার (৯ মার্চ) হতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের পাওনাদি পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।

ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ। সভায় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

পদত্যাগ করবেন না বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ
শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা তাদের স্বপদে বহাল থাকতে চান। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিরাপত্তা নিয়ে বিএসইসিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাশেদ মাকসুদ। মাকসুদ বলেন, আজকে সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের বলেছেন, যে কাজটা করে যাচ্ছি, সেটা যেন করে যাই, আরও জোরদার করি। বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপনাদের পদত্যাগ চায় এবং কর্মবিরতি পালন করছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা যে মিশন নিয়ে নেমেছি, সেই মিশন থেকে এক চুল পরিমাণ নড়বো না। কোন ধরনের অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। আমরা যে কাজ নিষ্ঠা ও নিয়মের সঙ্গে করে আসছি, সেটা করে যাবো। কর্মকর্তারা কাজ না করলে কি করবেন? এমন প্রশ্নে কমিশনার লালারুখ বলেন, আমরা আহ্বান জানাবো তাদের কাজে যোগদানের জন্য। তারপরেও যদি কাজে না আসেন এমন প্রশ্নে লালারুখ বলেন, সেটা দেখা যাবে।

সেনাবাহিনীর প্রহরায় কার্যালয়ে ঢুকলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সংস্থাটিতে কাজ হচ্ছে না। ফলে বিএসইসিতে একপ্রকার অচল অবস্থা বিরাজ করছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কার্যালয়ে আসেনি কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনার। বিকাল ৩টার পরে তাঁরা কার্যালয়ে যোগদান করেন। সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির মুখে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে কার্যালয় ছাড়েন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনার। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তাঁরা কেউ কার্যালয়ে আসেননি। সে কারণে পঞ্চম তলার কমিশন কার্যালয় একেবারেই ফাঁকা। চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের কক্ষের সামনের নামফলকগুলো ভাঙা, কারও নাম দেখা যাচ্ছে না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বিকাল ৩টার পরে সেনাবাহিনীর প্রহরায় তাঁরা কার্যালয়ে ঢুকেন। এদিকে নির্বাহী পরিচালকসহ সংস্থাটির বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিদিনের মতো কার্যালয়ে এলেও কাজ করছেন না। বিএসইসির কার্যালয়ের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকালে ৮ থেকে ১০ জন বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ থেকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদেরও পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনা কেন্দ্র করে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিনভর বিক্ষোভ করেন। এ সময় প্রায় চার ঘণ্টা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার ‘অবরুদ্ধ’ ছিলেন। পরে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে উদ্ধার করেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএসইসি ভবনের সামনে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে বিএসইসি ভবনের সামনে বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। বিসিএমআইএর সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম মানিক বলেছেন, ‘বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে দাবি নিয়ে লড়ছেন, আমরাও একই দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি।’ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ‘রাশেদ মাকসুদ অযোগ্য। শেয়ারবাজার নিয়ে তার জ্ঞান নাই। তার পক্ষে শেয়ারবাজার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই, শেয়ারবাজারের স্বার্থে তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে।’ খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন সেখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এর আগে বুধবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান বা কমিশনার কেউ কার্যালয়ে আসেননি। বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথাসময়ে অফিসে এসেছেন। তবে, তারা কোনো কাজ করছেন না। এমনকি কোনো চিঠি-পত্রও আদান-প্রদান করা হচ্ছে না। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী তারা সবাই কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা অফিসে আলোচনা, ঘোরাঘুরি, গল্প-আড্ডায় সময় পার করছেন। বুধবার লাঠিচার্জে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা এবং শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের দাবি অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছি। বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।’

বিএসইসিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ চায় ডিবিএ
শেয়ারবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অভ্যন্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সৃষ্ট ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে এই ঘটনার দ্রুত সমাধান চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে সংগঠনটি। এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) পাঠানো বিবৃতিতে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানে দীর্ঘ বছর ধরে দেশ বিদেশের নানা নেতিবাচক ঘটনা ও সিদ্ধান্তের ফলে দেশের পুঁজিবাজার ক্রান্তিকাল পার করছে, লাখ লাখ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছে, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে, সেখানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ন্যায় অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কর্মকর্তাদের মাঝে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনা বাজারের জন্য মোটেও সুখকর নয়। এই ঘটনা বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে। কমিশনের অভ্যন্তরে চলমান ঘটনার দ্রুত সমাধান না হলে বাজারে বিদ্যমান আস্থার সংকট আরও প্রকট হতে পারে এবং দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।’ এই বিষয়ে সাইফুল আশংকা করে বলেন, ‘কমিশনের অভ্যন্তরে সৃষ্ট এই ঘটনা বাজারে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাজারে বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট করবে এবং সামগ্রীকভাবে বাজারকে অস্থিতিশীল করে দিবে। তাই বাজারের জন্য ক্ষতিকর কমিশনের অভ্যন্তরে চলমান বিশৃঙ্খলা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার। বাজারের বৃহত্তর স্বার্থে কমিশনে সৃষ্ট পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমরা এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।’ বিবৃতিতে বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব কর্মকান্ড ও নিরলস প্রচেষ্টার সহযোগী হতে বাজার সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে ডিবিএ।

চেয়ারম্যান-কমিশনার পদত্যাগ না করায় বিএসইসিতে কর্মবিরতি
শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে, বুধবার (৫ মার্চ) জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয় বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসি কার্যালয়ের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘‘আমাদের দাবি অনুযায়ী, বুধবারের মধ্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি। আমাদের এ কর্মবিরতি বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত চলবে।’ সরেজমিনে বিএসইসির কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চেয়ারম্যান-কমিশনার কেউ আসেননি। তবে, বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাসময়ে অফিসে এসেছেন। কিন্তু, তারা কোনো কাজ করছেন না। কর্মকর্তাদের ডেস্ক ফাঁকা দেখা গেছে। এমনকি কোনো চিঠিপত্র আদান-প্রদান করা হচ্ছে না। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী, তারা সবাই কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা অফিসে আলোচনা, কথাবার্তা, ঘোরাঘুরি, গল্প আড্ডায় সময় পার করছেন। এছাড়া, বুধবার লাঠিচার্জে যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘বর্তমান কমিশন নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ- কমিশনারদের খারাপ আচরণ, বিভিন্ন কোম্পানির তদন্তের আলোকে কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক শোকজ করা এবং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানাই। কিন্তু, তারা দাবি মেনে নেয়নি। বরং ভুল তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ডেকে এনে আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিচার্জ করিয়েছেন। এতে আমাদের ছয় কর্মী আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে পারছি না। তাই, আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি করছি। তারা যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে পুরো কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন।।’’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এখানে (বিএসইসি) যোগ্য ও অভিজ্ঞ বসানো হোক। বাংলাদেশ ব্যাংকে যেমন অভিজ্ঞ অভিভাবক দেওয়া হয়েছে, আমরাও তেমন অভিভাবক চাই। যে অভিভাবক তাদের নিজেদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মান দিতে জানে না, তাদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা সম্ভব। আমরা তাদের দুর্ব্যবহার অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। আমরা যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু, সেটা না করে তারা এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলে আমরা জানিয়েছি। কিন্তু, তারা সেটা শোনেননি। বরং আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।’’ এদিকে বুধবার রাতে বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বার্তায় জানায়, বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছেন। দাবি-দাওয়ার কোনো সুরাহা না করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লাঠিচার্জ ও হামলা চালিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহত করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে লাঠিচার্জ ও হামলার শিকার হওয়া বিএসইসি তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে : অর্থ উপদেষ্টা
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে, বেড়েছে বেকারত্ব বলে মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা এবং প্রণোদনার মাধ্যমে এটা পুনরুদ্ধারে সরকার চেষ্টা করছে। বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকলেও, তা আগের বছরের চেয়ে বাড়েনি বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকায়, কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্যি।সরকার দাম কমানোর চেষ্টা করছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানাভাবে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেকারত্বের হার কমাতে পারলে অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকারের অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে তাদের নিজেদের কারণেই। সেখানকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হবে। তবে সবাইকে কাজ দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।

'বিএসইসি‘র কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা বোর্ডরুমে জোরপূর্বক প্রবেশ করে পেশি শক্তি দেখায়'
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, বিএসইসি‘র কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের কমিশনের বোর্ডরুমে চলমান সভায় জোরপূর্বক ঢুকে অবরূদ্ধ করে। তারা কমিশন মূল ফটকে তালা দিয়া দেয়, সিসি ক্যামেরা অফ করে দেয়। বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অরাজক, ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে ও পেশি শক্তি প্রদর্শন করে। একই সাথে তারা চেয়ারম্যানের সদ্য যোগ দেয়া পিএস যিনি সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব তাঁকে লাঞ্চিত করেছে। বুধবার ( ৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিগত দিনের পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১২টি লিস্টেড কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করে। এ পর্যন্ত তদন্তকমিটি ৭টি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এ রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। এর আওতায় রয়েছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিএসইসি'র কিছু কর্মকর্তা। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ বছর চাকরি সমাপ্ত করায় বিধি মোতাবেক কমিশনের এক্সেকিউটিভ ডাইরেক্টর সাইফুর রহমানকে গত ৪ মার্চ অবসর প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, এ ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বিএসইসি’র কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা উপরোল্লেখিতো দুটি ইস্যুতে (সাইফুর রহমানের অবসর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি না নেয়া) গৃহীত সিদ্ধান্ত তৎক্ষণাৎ প্রত্যাহারের দাবি জানায়। অন্যথায় কমিশনের তৎক্ষণাৎ পদত্যাগ করতে হবে। এ চরম উশৃঙ্খল ভীতিকর পরিস্থিতি ৪ ঘণ্টা চলে। কমিশন অবরুদ্ধ থাকার খবরে এবং বিএসইসি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রথমে পুলিশ ও পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বিএসইসিতে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় বিএসইসি’র কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এরূপ অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।

পাকিস্তানি চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে জাহাজ
সরকারিভাবে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা আতপ চাল নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি-১ জেটিতে পাকিস্তান থেকে আসা ‘এমভি সিবি’ নামক জাহাজটি ভেড়ে। খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদুর্শী চাকমা বলেন, পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে ‘এমভি সিবি’ বিকালে বন্দরে ভিড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ‘জিটুজি’ ভিত্তিতে আমদানির চুক্তি হওয়া ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের প্রথম চালান এটি। আগামী ১০ মার্চ নাগাদ পাকিস্তানি চালের দ্বিতীয় চালান বাংলাদেশে আসবে। জ্ঞানপ্রিয় চাকমা বলেন, জাহাজটি থেকে চালের নমুনা পরীক্ষার পর দ্রুতই খালাস শুরু করা হবে। দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জিটুজি ভিত্তিতে ভারত ও মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানি করা হয়েছে।

রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক বিএসইসি কর্মকর্তাদের
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম জানান, পুরো কমিশন যতক্ষণ পদত্যাগ না করবেন, ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হবে। এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৪ দফা দাবি জানিয়ে এসব দাবি না মানলে পদত্যাগের আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ের কমিশনের চতুর্থ ফ্লোরে চেয়্যারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করা হয়। এসময় দুপুর ১ টা থেকে রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে সর্বস্তরের কর্মকর্তারা বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন। বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে কমিশনে ব্লাক আউট করা হয়। বেলা ২টার দিকে সেনাবাহিনীরা সদস্যরা কমিশন ভবনে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিএসইসি কর্মকর্তাদের লঠিপেটা করে।ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে সাড়ে তিনটার দিকে অবরুদ্ধ শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। সূত্র মতে, বিএসইসি নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমানকে বিতর্কিতভাবে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে রাশেদ মাকসুদ কমিশন। একইভাবে আরও কয়েকজনকে এই অবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যা নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিতরে তৈরী হয়েছে চরম ক্ষোভ।

ইসলামী ব্যাংকের ‘ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানুয়াল’-এর মোড়ক উন্মোচন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ‘ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানুয়াল’ ভার্সন-৩.০৬-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রধান অতিথি হিসেবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স উইংপ্রধান মোঃ মাকসুদুর রহমান এবং অডিট অ্যান্ড ইনপেকশন ডিভিশনপ্রধান মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহসহ প্রধান কাযালয়ের ঊধ্বর্তন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান-কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি, নইলে কর্মবিরতি
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বুধবারের (৫ মার্চ) মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আগামী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে বিএসইসির কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিক এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান। এ সময় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিশন নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ— কমিশনারদের খারাপ আচরণ, বিভিন্ন কোম্পানির তদন্তের আলোকে কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক শোকজ করা এবং নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের কাছে ৫ দফা দাবি জানাই। তবে তারা এ দাবি মেনে নেয়নি। বরং আজ সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে ডেকে এনে তারা আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিচার্জ করিয়েছেন। এতে আমাদের ৬ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে পারছি না। তাই, আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি করছি। তারা যদি বুধবারের মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে পুরো কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন। আমরা সরকারের কাছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ বিষয়টি তুলে ধরছি। সরকারকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বিএসইসির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এখানে (বিএসইসি) যোগ্য ও অভিজ্ঞ বসানো হোক। বাংলাদেশ ব্যাংকে যেমন অভিজ্ঞ অভিভাবক দেওয়া হয়েছে, আমরাও তেমন অভিভাবক চাই। যে অভিভাবক তাদের নিজেদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মান দিতে জানে না, তাদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা সম্ভব। আমরা তাদের দুর্ব্যবহার অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। আমরা যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু সেটা না করে তারা এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলে আমরা জানিয়েছি। কিন্তু তারা সেটা শুনেননি। বরং তারা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো- ১. জরুরি মিটিং কল করে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের বাধ্যতামূলক অবসরের অবৈধ আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। ২. বিতর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শোকজ বন্ধ করতে হবে এবং পূর্বে প্রদত্ত শোকজ সব প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। ৩. ১২৭ জনের নিয়োগের ব্যাপারে কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ এবং ৩ দিনের মধ্যে আপিল করে কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। ৪. কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে অশোভন, অপেশাদারমূলক দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। ৫. উপরিউক্ত ৪টি দাবি না মানলে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। এর আগে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ফ্লোর (পঞ্চম তালা) ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসইসি ভবনের সামনে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিএসইসির ভেতরে ঢুকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর অনেক বাগবিতণ্ডা এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থা থাকার পর চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার ফারজানা লালারুখ ও মো. আলী আকবর নিজ গাড়িতে করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় কমিশন ত্যাগ করেন।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও আইএফএস টেক্সওয়্যারের মধ্যে পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং আইএফএস টেক্সওয়্যার (প্রাইভেট) লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী এবং আইএফএস টেক্সওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ব্যাংকের পেরোল প্রিভিলেজ সার্ভিসের (এপিপিএস) বিশেষ সুবিধা পাবেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জাকির হোসেন ভূইয়া, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী মোস্তাফিজুর রহমান ও আইএফএস টেক্সওয়্যারের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মোতাহার হোসেন ভূইয়া, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এস এস সাখাওয়াত হোসেন এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪১তম সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ)-এর টাস্ক কমিটির ৪১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সেমিনারের বিভিন্ন বিষয়সহ সাম্প্রতিক ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। গত ২ মার্চ গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর বোর্ডরুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আইবিসিএফ-এর টাস্ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়ারম্যান মুঃ ফরিদ উদ্দিন আহমদ, আইবিসিএফ-এর উপদেষ্টা এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি- এর এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম খলিফা । এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী, এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোঃ আখতার হোসেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মোঃ ইয়াহিয়া, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোঃ নাজমুস সাদাত, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আতাউস সামাদ এবং আইবিসিএফ এর সহকারি সচিব জাহাঙ্গীর আলম ।

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের বিশেষ আর্থিক সেবা ‘বীর’
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ আর্থিক সেবা প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স বীর’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকেরা বিশেষ সঞ্চয় ও বিনিয়োগ সুবিধা পাবেন, যা কনভেনশনাল ও শরিয়াহভিত্তিক উভয় মডেলে গ্রহণ করা যাবে। এ ছাড়া, গ্রাহক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য হোম লোন, এসএমই লোন, নারী উদ্যোক্তা ঋণ ও কৃষি ঋণ গ্রহণের সুযোগ থাকবে। আজ বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. কায়সার হামিদ সেবাটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স বীর-এর বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে সারা দেশ থেকে বিমানবন্দর পিকআপ ও ড্রপ-অফ পরিষেবা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাউঞ্জ অ্যাকসেস ও মিট-অ্যান্ড-গ্রিট পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা কভারেজ। মো. কায়সার হামিদ বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের মূল্যবান রেমিট্যান্স ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই সেবার নামটি বীর রাখার কারণ হলো তাদের এই অবদানের প্রতি আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ, যা তাদের অনন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষায়িত আর্থিক সেবা প্রদান করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সেবা নেওয়ার জন্য কাস্টমারকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। একটা ফরম পূরণের পর তার আর কাজ নেই। কাস্টমারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এটি লিংক করা থাকবে।’ বিডি ফাইন্যান্সের সিইও মো. কায়সার হামিদ আরও বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে, যারা প্রবাস থেকে আসে তারা যাতে বিমানবন্দরেই আমাদের সেবাগুলো সম্পর্কে জেনে যায়।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স প্রবাসীদের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স বীর’-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসীদের বিনিয়োগকে আরও সুবিধাজনক, সুরক্ষিত ও লাভজনক করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের লক্ষ্য।

অসিত কুমার সাহা এবং জাহিদুল আলম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচিত
জনাব অসিত কুমার সাহা এবং জনাব জাহিদুল আলম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি’র পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৪০৩তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তক্রমে এবং গত ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে দু'জন ব্যাংকের পরিচালক পদে নির্বাচিত হন। বিশিষ্ট উদ্যোক্তা জনাব অসিত এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এ.কে. সাহা স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড, উত্তম অয়েল মিলস লিমিটেড এবং এন.জি. সাহা স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া তিনি সাহা স্টিল প্রোডাক্টস (প্রা.) লিমিটেড এবং নিউ বেঙ্গল ট্রেডিং কোং লিমিটেডের পরিচালক। জনাব অসিত সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে বি.কম (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন। জনাব জাহিদুল মেসার্স সুপার ইলেক্ট্রনিক্স, মেসার্স রেডিওভিশন, জেপি সন্স এবং হোয়াইট র্যাবিটের ম্যানেজিং পার্টনার, হে অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি মিজুকি হাউসহোল্ড প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং পিএএম কমপ্লেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক। জনাব জাহিদুল আলম লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে বি.এসসি (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন।