ভারতীয় এলওসি প্রকল্পগুলো বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় চলমান প্রকল্পগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। তাই এলওসি প্রকল্পগুলো বন্ধ হবে না। অর্থনীতির জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, কিন্তু ক্যানসেল করা খুবই সেনসেটিভ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট যত্নবান। চট করে ক্যানসেল করে দেবো না। বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এলওসি নিয়ে কথা হয়েছে। এলওসি পার্টিকুলার দেশে আসে। ওই দেরি হওয়া মানে আমরা প্রজেক্টটা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করি, অনেকে বলে বন্ধ, না সেটা সম্ভব নয়। একটা প্রজেক্ট হয়েছে—সেটা যে সরকারই করুক এবং ভারত সাহায্য দিচ্ছে, এগুলো প্রয়োজনীয়। অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থায় আছে তা কিন্তু নয়। একটা বিষয় হয়েছে ব্যবসায় মন্দা, সোর্স অব ইনকাম সেটা কিছুটা কম। কিন্তু একেবারে ধ্বংসের পথ থেকে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। তিনি আরও বলেন, নতুন এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান) কম হচ্ছে। সেটা আমরা একনেকে বলেছি। ব্যবসা-বাণিজ্য আমরা চেষ্টা করছি। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য সব থেকে বেশি। রিসেন্টলি এসএমই সেক্টরের ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে। তবে কিছু লোকের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা স্বীকার করছি। তবে প্রাইসের থেকে আয়ের বিষয়টা বড়। পোশাক খাত নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গার্মেন্টসে আমরা ক্যাশ ইনসেনটিভ দিচ্ছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তাদের ম্যানেজমেন্টের দোষ আছে, কিছু আছে প্রোডাক্টের ডিমান্ড তেমন নেই। সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আগের সরকারের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানসহ বেক্সিমকোর ১৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বেক্সিমকোরটা ইউনিক চ্যালেঞ্জ। ওদের দোষে, করাপশনের দোষ, আর ম্যানেজমেন্টের দোষ। প্রাইভেট দায় সরকারের ঘাড়ে নেওয়া ঠিক না। সরকারের টাকা মানে তো জনগণের টাকা। ওটা তো অন্য কাজে ব্যয় করতে হয় আমাদের। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক বিষয় আছে। তাদের প্রতি (বেক্সিমকোর শ্রমিক) আমাদের নজর আছে। আমরা চেষ্টা করছি। বিডার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি রিলোকেট করা যায়। বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আরেকটু বেটার হলে ভালো হতো। গত বছরের তুলনায় অনেক পণ্যের দাম এখন কম। সামনে গরম আসছে, এলএনজি সংকট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এলএনজি সংকটের কোনও সম্ভাবনা নেই। দুইটা লটে আজকে আমরা এলএনজি আমদানি করতে বলেছি। তিনি বলেন, মেইনলি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়টা প্রথম, আর জনগণের জীবনযাত্রার বিষয়টি আছে।

বিএসইসি ঘেরাও, বিশেষ নিরাপত্তায় কার্যালয় ছাড়লেন চেয়ারম্যান

শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারির পর নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরের দিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ফ্লোর (পঞ্চম তালা) ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসি ভবনের সামনে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়ের করা হয়েছে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় বিএসসির কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। অবশ্য বিএসএস'র চেয়ারম্যান কার্যালয় ছাড়ার আগে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বিএসইসি ভবনের কিছু জায়গায় ভাঙচুর চালান। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সাইফুর রহমানকে কেন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো, তার জবাব চান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেউ কেউ বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পতদ্যাগ দাবি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান কমিশন নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও হতাশা আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ— কমিশনারদের খারাপ আচরণ ও ১২ কোম্পানির তদন্তের আলোকে শোকজ করা। সব মিলিয়ে বাজে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিএসইসিতে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারির পর পরিস্থিতি আরো খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। তাই, বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশে উল্লেখ করা রয়েছে, যেহেতু বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের চারকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু কমিশন জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে, সেহেতু বিএসইসিরর কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০২১ এর ৬৩ বিধি এবং এতদ-সংশ্লিষ্ট সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে সোমবার (৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত ৯৪৫তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে চাকরি হতে অবসর দেওয়া হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা প্রাপ্য হবেন। এর আগে রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই গত বছরের ২২ আগস্ট সাইফুর রহমানকে ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে আরঅ্যান্ডডি বিভাগের দায়িত্ব দেয়। তখনই মূলত তাকে একপ্রকার ওএসডি করা হয়। তবে, ৯ সেপ্টেম্বর সেই দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। সেই থেকে সাইফুর রহমান নিয়মিত অফিসে এসেছেন, কিন্তু কোনো কাজ করতে পারেননি।

রমজানে দুঃসহ গ্যাস সংকটে গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে

রমজানের শুরু থেকেই গ্যাস সংকটে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের ভরসা ইলেকট্রিক, সিলিন্ডার কিংবা মাটির চুলা। শুধু আবাসিকেই নয়, রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলোতেও রয়েছে গ্যাস সংকট। বেশিরভাগ স্টেশনেই দেখা মিলছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। তিতাস বলছে, ‘প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় দেখা দিয়েছে সংকট।’ রমজানে ইফতার বানানোর তোড়জোড় থাকলেও বাদ সাধছে তীব্র গ্যাস সংকট। রাজধানীর কাঁঠালবাগানের বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাই রান্না করেন ঘরে তৈরি চুলার সাহায্যে। তারা জানান, বেশিরভাগ সময় ভুগতে হলেও, রোজা এলে ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ। গ্যাস কখন আসবে তা নিয়ে থাকতে হয় অনিশ্চয়তায়।শুধু কাঁঠালবাগানই নয়, তীব্র গ্যাস সংকটে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর কলাবাগান, হাতিরপুল, সেন্ট্রাল রোড এলাকার বাসিন্দারা। বাধ্য হয়েই রান্না করতে হচ্ছে ইলেকট্রিক, সিলিন্ডার কিংবা লাকড়ির চুলায়। এতে একদিকে জ্বালানির খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি গ্যাস না পেলেও গুণতে হচ্ছে বিল।গ্রাহকরা বলছেন, ‘কোনো কোন দিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া গেলেও দিনের পুরোটা সময়ে দেখা মেলে না গ্যাসের। গ্যাস না থাকলেও মাস শেষে বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে।’এদিকে, রমজানের শুরুতেই রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোতেও দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট। গাড়িগুলোর দীর্ঘ সারি জমছে স্টেশনগুলোতে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালক ও মালিকরা।তাদের অভিযোগ, গ্যাসের চাপ কম দেখিয়ে গ্যাস কম দিচ্ছেন স্টেশনগুলো। তাছাড়া অল্প পরিমাণ গ্যাস মিললেও লাইনে দাঁড়িয়ে নষ্ট হচ্ছে অনেক সময়। এতে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।তিতাস বলছে, ‘চাহিদার তুলনায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম থাকায় গ্যাসের এ সংকট। তবে অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।’ তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ সাইদুল হাসান বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৯৬০ মিলিয়ন ঘনফুট চাওয়া হচ্ছে পেট্রোবাংলার কাছে। তবে মিলছে দেড় হাজার মিলিয়নের মতো। আশা করছি, খুব শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে।’চলতি বছর শীতের পুরোটা সময় ছিল গ্যাস সংকট। এ পটভূমিতে মার্চের শুরুতে শুরু হয়েছে রমজান মাস। গ্যাস নিয়ে এ মাসে ভোগান্তি যেন না পোহাতে হয়, সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নেবে এমনটিই প্রত্যাশা নগরবাসীর।

বিএসইসির চেয়ারম্যান-কমিশনার অবরুদ্ধ

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও কমিশনারসহ জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কমিশনের কনিষ্ঠ কর্মকর্তারা। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার পর কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রতিবাদে জুনিয়র কর্মকর্তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এদিনই বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এ বিষয়ক আদেশ জারি করেন। এরপর বুধবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বড় অংশ শীর্ষ কর্মকর্তাদের ঘেরাও করে রেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা ঘেরাও অবস্থায় আছেন। এ অবস্থায় কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার কথা বলাও যাচ্ছে না।’ একাধিক নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘কনিষ্ঠ কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তাদের ঘেরাও করে রেখেছেন। এমনকি তারা শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে বর্তমান চেয়ারম্যানের দালাল আখ্যা দিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করছেন।’ বিষয়টি সম্পর্কে সরেজমিনে জানতে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ে গেলেও ভেতরে যাওয়া যায়নি। পুলিশের একাধিক দল কার্যালয়ে এসে ঘুরে গেছে।

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

টানা তিন দফা কমার পর দেশের বাজারে আবার বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে তিন হাজার ৫৫৭ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৫১ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বুধবার (৫ মার্চ) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৫১ হাজার ৯০০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৪ হাজার ২৮০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ দুই হাজার ৩৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ছয় শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ১ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে দুই হাজার ৬২৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

দুর্বল ব্যাংকগুলোর রিকভারিতে ৫-১০ বছর সময় লাগবে: গভর্নর

দুর্বল ব্যাংকগুলোর পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে (রিকভার) ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের কার্যালয়ে 'পাথ টু রিকভারি ফর ব্যাংকিং সেক্টর' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। গভর্নর বলেন, 'প্রতিদিনই আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোর ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসছি এবং তাদের সবকিছু অবজার্ভেশন করছি। ইতোমধ্যে আমরা তাদের অনেক লিকুইডিটি সাপোর্ট দিয়েছি। তবে সম্পূর্ণ ক্যাপিটালাইজ হয়ে রিকভার করতে এসব ব্যাংকের ৫ থেকে ১০ বছর প্রয়োজন। আমাদের দেশে যেসব ব্যাংক খারাপ অবস্থা থেকে উঠে এসে ভালো করেছে, তাদেরও মোটামুটি এমন সময়ই লেগেছে।' আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং খুবই ভালো করছে এবং শিগগিরই এ খাতের ৫০ শতাংশ এজেন্ট নারীরা হবেন। দেশের ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট অবস্থার উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বর্তমানে আমাদের ফরেন সেভিংস পজিশন খুবই স্ট্রং, আমরা বিদেশে থেকে চাটুকারিতা করে ঋণ আনবো না।' গভর্নর আরও বলেন, 'আমাদের সরকারের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে রেভিনিউ একমাত্র সমাধান। রেভিনিউ বাড়াতে পাড়লে আমাদের আইএমএফের দিকে তাকাতে হবে না। আমি ইতোমধ্যে আইএমএফকে বলেছি, আমাদের আইএমএফের টাকা দরকার নেই।' তিনি বলেন, 'চলতি অর্থবছরে আমাদের প্রবাসী আয় হবে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া রফতানি আয় যদি আমাদের ৫০ বিলিয়নও হয়, তারপরও আমাদের আমদানি বাবদ পরিশোধ করে ১০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত থাকবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং খুবই ভালো করছে এবং শিগগিরই এ খাতের ৫০ শতাংশ এজেন্ট নারীরা হবেন। গভর্নর বলেন, "আমার ধারণা, এটি গতানুগতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ছাড়িয়ে যাবে। এটি নীরবে বিপ্লব করে চলেছে।" ব্যাংকিং খাত নিয়ে গভর্নর আরও বলেন, "আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে চাই এবং আর্থিক খাতকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই।" "কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করার কাজ জোরেশোরে চলছে। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকও আমাদের বিশ্বব্যাপী সেরা ব্যবস্থা বা নীতিমালা খুঁজে পেতে সহায়তা করছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনর্গঠনে কাজ করছি।” আহসান এইচ মনসুর বলেন, "আমরা চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এর ভিত মজবুত করতে চেষ্টা করবো, তবে সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারবে না। যখন পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসবে, তখনও এই সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।" তিনি আরও বলেন, "সুশাসন বজায় রাখতে হবে, নতুবা সংস্কার কার্যক্রম ব্যাহত হবে।" গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, "একটি পাঁচ বছরের পরিকল্পনা মানে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা। এক বা দেড় বছরের মধ্যে এই এজেন্ডা শেষ করা সম্ভব নয়। আমরা যতটা সম্ভব করার চেষ্টা করবো এবং আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করবো। আমরা একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপনের ব্যাপারে আশাবাদী।" "যখনই আমরা আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের কাছে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বলি, তারা বলে 'এত দ্রুত?' আর আমরা বলি, আমাদের রাজনৈতিক সময়সীমা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।" সম্পদের পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, "আমরা কেবল আশা করতে পারি যে, বাংলাদেশে কিছু রায় পাবো এবং বিদেশে কিছু সম্পত্তি আটকানো সম্ভব হবে। তবে অর্থ ফেরত আনা দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া।" তিনি আরও বলেন, "তবে আশা শেষ হয়ে যায়নি। নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, অ্যাঙ্গোলার মতো দেশগুলো সফলভাবে অর্থ পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।" চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংক খাতের কতটুকু সংস্কার করা সম্ভব এ প্রশ্নের উত্তরে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, "আমরা এখন যে গতিতে এগুচ্ছি, তাতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই ব্যাংকিং রেজোল্যুশন অ্যাক্ট করে ফেলতে পারবো। আমাদের পরিকল্পনা অনেক বড় ও উচ্চাভিলাষী। আমাদের পক্ষে যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ করে যাচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, "আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্ট্র্যাকচারাল রিফর্মের কাজও গুছিয়ে নিয়ে আসবো। ব্যাংক খাতে রিফর্মের শুরুটা আমরা করে দিয়ে যাবো, বাকিটা পরবর্তীতে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করবে।

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি'র পরিচালনা পরিষদের সভা ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসি ব্যাংক এবং কমার্স প্লেক্স ইউকের মধ্যে রেমিটেন্স বিতরণ চুক্তি

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্ষ্টাজিত বৈদেশিক মুদ্রা নিরাপদ, স্বল্প সময় ও সহজতম উপায়ে দেশে বসবাসরত আত্মীয়স্বজনের নিকট পৌঁছানোর লক্ষ্যে সোমবার (০৩ মার্চ) এনসিসি ব্যাংক পিএলসি. কমার্স প্লেক্স লিঃ (সিমপাইসা), ইউকের সাথে রেমিটেন্স চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে কমার্স প্লেক্স (সিমপাইসা), ইউকের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে থেকে পাঠানো রেমিটেন্সের অর্থের সুবিধাভোগগণ এনসিসি ব্যাংক ও এর সহযোগী এনজিও এবং সাব-এজেন্টের শাখা হতে উত্তোলন করতে সক্ষম হবে। এনসিসি ব্যাংকের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.শামসুল আরেফিন এবং সিম্পাইসা, ইউকের চীফ স্ট্রাটেজি এ্যান্ড অপারেশন্স অফিসার (সিএসও) বাছিরনজিম স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মোঃ জাকির আনাম, মোঃ মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান,এসভিপি ও হেড অব ট্রেজারী প্রধান মোঃ জহুরুল করীম চৌধুরী, এসএভিপি ও রেমিট্যান্স এ্যান্ড এনআরবি ব্যাংকিং প্রধান মোঃ ফরাদুজ্জামান এবং (সিমপাইসা), ইউকের কান্ট্রি ম্যানেজার সানজানা ফরিদ ও হেড অব ট্রেজারী সানি দাসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকের সাথে কমার্স প্লেক্সের রেমিট্যান্স সেবা সংক্রান্ত চুক্তি সই

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও কমার্স প্লেক্স লিমিটেড কানাডার মধ্যে একটি রেমিট্যান্স পরিষেবা চুক্তি সই হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি সই হয়। ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান এবং কমার্স প্লেক্সের চিফ স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড অপারেশন্স অফিসার বাছির নিজেম চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম, কমার্স প্লেক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সানজানা ফরিদ, ইসলামী ব্যাংকের ট্রেজারি অ্যান্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনপ্রধান মুহাম্মদ মাসউদ, ফরেন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশনপ্রধান মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশনপ্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আগামী দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আশা করছি, আজ থেকেই সরবারাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’ সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সয়াবিন তেল বেশি দামে যেমন বিক্রি হচ্ছে, তেমনি পামওয়েল তেল সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ২৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মোট ভোগ্য তেলের ষাট শতাংশ পামওয়েল। বাজারে তেলের দাম একই সাথে কমেছে এবং বেড়েছে। আশা করছি, সয়াবিন তেলের দামও কমে আসবে।’ গণমাধ্যম কর্মীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজালরোধে পবিত্র রমজান মাসে বিএসটিআই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আজ চারটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।’ এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, ‍শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান, বিএসটিআইয়ের এসএম ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।

ফেব্রুয়ারিতে যে ৮ ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স

সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রায় ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তবে এই সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। রোববার (২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির ২৮ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এর মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ছাড়াও একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৩টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়াও ফেব্রুয়ারির ২৮ দিনে বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

বিএসইসিতে দুদকের অভিযান

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম বিএসইসি থেকে আইপিও অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে কোম্পানির আবেদনের তালিকা, তাদের দাখিল করা প্রসপেক্টাস, নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য নথিপত্র এবং চূড়ান্ত অনুমোদন তালিকা যাচাই করে। একইসঙ্গে দুদকের আরেকটি দল বিএসইসিতে বেক্সিমকোর সুকুক ও আইএফআইসি আমার বন্ডের ব্যাপারে তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করতে যায়। এগুলো কারাগারে থাকা শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সাথে সংশ্লিষ্ট। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যায় যে কোম্পানি কর্তৃক দাখিল করা বানোয়াট উপার্জন এবং সম্পদ বিবরণী ও উইন্ডো ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা ব্যালেন্স শিটের বিপরীতে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অনেকক্ষেত্রে ডিএসইর সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণ বিবেচনা করা হয়নি, যা ব্যাপক অনিয়মের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। এ ছাড়া প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, অধিকমূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ ও অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রি, প্রাইসের দ্রুত অবনমনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায় দুদক। দুর্বল কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ায় শেয়ারবাজারে প্রবেশের অল্পদিনেই তাদেরকে নিম্ন কর্মক্ষমতা কোম্পানি হিসেবে ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ড কর্তৃক প্রস্তুত করা উইন্ডো ব্যালেন্স শিট ও বানোয়াট উপার্জন রিপোর্টের ভিত্তিতে আইপিও অনুমোদন করা হয়। এছাড়া ইস্যু ম্যানেজারের তৈরি করা অধিমূল্যায়িত কোম্পানি প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে অনিয়মের আশ্রয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। দুদক জানায়, অভিযানকালে পাওয়া অনিয়মগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে তাদের এনফোর্সমেন্ট টিম। উল্লেখ, পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের পুঁজিবাজারে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট করা হয় বলে আভিযোগ আছে। এ সময়ে অনেক দুর্বল মৌলের কোম্পানি, এমনকি উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান একাই বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক ও আমার বন্ড নামের বন্ড ইস্যু করে প্রায় ৫ হাজার টাকা বাজার থেকে উঠিয়ে নেন। এছাড়া নানা ধরনের কারসাজির মাধ্যমে একটি চক্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ আছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির প্রশ্রয় ও যোগসাজসেই এমন লাগামহীন অনিয়ম-দুর্ণীতি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আজ দুদক বিএসইসিতে এই অভিযান চালিয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ’কল্যাণের জন্য সঞ্চয়’ শীর্ষক মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন রবিবার (২ মার্চ) থেকে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে উদ্বোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নতুন প্রোডাক্ট ডিজিটাল দান বাক্স ও মুদারাবা উমরাহ সেভিংস স্কিমেরও উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন। এতে আরো বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান এ কে এম মাহবুব মোরশেদ ও বিজনেস প্রমোশন এ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন প্রধান মোঃ মজনুজ্জমান। এসময় প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ব্যাংকের সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জগণ ভার্চুয়াল প্লাাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন। ক্যাম্পেইন চলাকালে মুদারাবা হজ সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মুদারাবা ওয়াকফ ক্যাশ ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট, মুদারাবা মোহর সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মুদারাবা বিবাহ সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ডিজিটাল দান বাক্স ও মুদারাবা উমরাহ সেভিংস স্কিমকে জনপ্রিয় করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।

রেকর্ড ২৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এল ফেব্রুয়ারিতে

দেশে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৫৩ কোটি ডলার। এর আগের বছর ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। গত ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা সাত মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা তখনকার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক প্রভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, এই হিসাব করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে মোট রিজার্ভ ২৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

টানা তৃতীয় দফায় কমলো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দফায় স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৬২৪ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। যা কাল রোববার (২ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে। এর আগে গত ২৩ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম কমানো হয়।

জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ

মার্চে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত মাসের মতো চলতি মাসেও ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১০৫ টাকা, পেট্রোল ১২২ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৬ টাকা বহাল রাখা হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান মূল্য কাঠামো অনুযায়ী ডিজেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৫ টাকা, অকটেন ১২৬ টাকা এবং পেট্রোল ১২২ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।’ শনিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

বাজারে তেলসহ সব সমস্যা সাত দিনে সমাধান হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, রমজান উপলক্ষে বাজারে তেলসহ যেসব সমস্যা রয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় বাংলাদেশ বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার সিইটিপি পরিদর্শন শেষে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। শেখ বশির উদ্দিন বলেন, এবারের রমজানে বাজারে কোনো খাদ্য ঘাটতির সম্ভাবনা নেই। সাত দিনের মধ্যে খেজুরসহ সব জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। এবারের রমজানে সবকিছুই মজুত রয়েছে। আশা করি কোনো বাজারকেন্দ্রিক সমস্যা হবে না। উল্লেখ্য, প্রতি বছর কোরবানির ঈদ এলে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ব্যবস্থাপনা পর্যাপ্ত না থাকায় তরল বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হয়। ফলে ধলেশ্বরী এবং বংশীসহ দূষিত হয় আশপাশের নদ-নদীর পানি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, চামড়া শিল্প নগরীর বর্জ্য এবং আশপাশের শিল্প কলকারখানার বর্জ্য পরিশোধন ছাড়াই নদ-নদীতে ফেলায় নদীগুলোতে ক্রুমিয়ামের মাত্রা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে, যা কিনা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ সময় তিনি ট্যানারি মালিকদের পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রমজান শুরুর আগ মুহূর্তে মূল্য বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের

রমজান সামনে রেখে বাজারে মাছ-মাংসের দাম বাড়ছে। লেবু, শসা ও বেগুনের দামও বাড়তি। তবে রোজার পণ্য হিসেবে পরিচিত খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের দাম এখনো স্থিতিশীল। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বৃহত্তর মিরপুর-১ কাঁচাবাজার, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও তালতলা বাজার ঘুরে রমজানের পণ্যের এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এসব বাজারে ক্রেতা সাধারণের ভিড় ছিল উপচে পড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘কাল শনিবার (১ মার্চ) থেকে রমজান শুরু হতে পারে। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারির শেষ দিন আজ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোক্তারা প্রয়োজনের তুলনায় বাড়তি বাজার করছেন। এ অবস্থায় অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম।’ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ১৮০-২০০ টাকা ছিল। একইভাবে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ২৮০-৩১০ টাকা হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ‘রমজানের শুরুতে অনেকে বেশি পরিমাণে মুরগি কিনে রাখেন। যে কারণে এ সময়টাতে চাহিদার সঙ্গে দাম বাড়ার প্রবণতাও দেখা দেয়।’ বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও সহনশীল রয়েছে। প্রতি ডজন কেনা যাচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা ও খাসি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানের প্রতিদিনের আইটেম ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৫-১১০ টাকা। একই সঙ্গে খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকা ও মসুর ডাল ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মিরপুর কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘ডালজাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। আগের বছর রমজানেও এমন দাম ছিল। মাঝে মসুরের দাম কিছুটা বেড়েছিল, এখন সেটা কমেছে।’ মাস দুই আগে চিনির দাম উঠেছিল ১২৫-১৩০ টাকায়। এখন তা কিছুটা কমে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এ বিক্রেতা। তবে অস্থিরতা রয়ে গেছে সয়াবিন তেলের বাজারে। ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকট এখনো কাটেনি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে সয়াবিন তেলের দেখা মেলেনি। কয়েক দোকান ঘুরে একটিতে সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও পাঁচ লিটারের গ্যালনের দাম ৮৫০ টাকা চাচ্ছেন দোকানি। অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ২০০ টাকা হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। তেল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলশাদ নামের ক্রেতা বলেন, ‘রমজানের আগে সয়াবিন তেলের চাহিদা যখন বেড়ে যায় তখন ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ব্যবসায়ীরা। একটি শক্ত সিন্ডিকেট এই তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ ক্রেতারা।’ রমজান ঘিরে বাজারে মুড়ি ও খেজুরের চাহিদাও বাড়ে। বাজারে এখন প্রতি কেজি মুড়ি ৯০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছরও এমন দাম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। চিড়া প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, নরম গুড় ১৮০ টাকা ও শক্ত গুড় ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা ফলের মধ্যে খেজুরের চাহিদা রমজান মাসে অনেকটাই বেড়ে যায়। সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা এবং ভাল মানের খেজুর ৭০০-১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। রমজানে শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদাও বাড়ে। ফলে বাজারে এখন কিছুটা বাড়তি দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি শরবতি লেবু ৭০ টাকা এবং অন্যান্য লেবু ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শশা প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা ও গাজর ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে।

ফের কমলো স্বর্ণের দাম

চারদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪০৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৭ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। এদিন ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৫৫ টাকা। অর্থাৎ দুই দফায় ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৩ হাজার ৫৫৮ টাকা। এই দাম কমানোর আগে ২, ৬, ১১, ১৮ ও ২১ ফেব্রুয়ারি এবং ১৬, ২৩ ও ৩০ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ৮ দফা বাড়ানোর পর এখন দুদফা দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর স্বর্ণ) মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এমতাবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪০৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৭৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৭২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮০৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৪০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ দামেই স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে। স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে শরি‘আহ অ্যাওয়ারনেস কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরি‘আহ পরিপালনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির সিইওবৃন্দের অংশগ্রহণে ‘শরি‘আহ অ্যাওয়ারনেস কর্মসূচি’ আয়োজন করেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং এ শরি‘আহ পরিপালনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা পেশ করেন ব্যাংকের এসএভিপি ও শরি‘আহ সেক্রেটারিয়েট ডিভিশনের প্রধান কে. এম. রহমাতুল্লাহ সিএসএএ।

নগদে নতুন প্রশাসক মোতাছিম বিল্লাহ

বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক জনাব মো: মোতাছিম বিল্লাহকে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সার্ভিস 'নগদ'-এর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে নগদের বর্তমান প্রশাসক জনাব মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হয় এবং জনাব বিল্লাহকে প্রশাসক পদে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

মার্চে আসছে ৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ সুকুক

আগামী ১২ মার্চ আসছে ৩ হাজার কোটি টাকার ৫ম ‘বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক’- বন্ডের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। ইজারাকৃত ইসলামী ধারার এই সুকুক সম্পদ ব্যবহারের বিপরীতে সরকার/অরিজিনেটর বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া প্রদান করবে। এর মেয়াদ হবে ৭ বছর। বৃহষ্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়- সিআইবিআরআর-২)’ শীর্ষক প্রকল্পের বিপরীতে ‘সিআইবিআরআর-২ আর্থ-সামাজিক সুকুক’ নামে জারি করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘শরীয়াহ এডভাইজরি কমিটি’র সভায় সুকুক প্রসপেক্টাস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি চূড়ান্ত করে কমিটির সদস্যরা শরীয়াহ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এই সুকুক বন্ড সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে জারি করা হবে। যার মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। সুকুক জারির পরিমাণের ৭০ শতাংশ শরীয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি ও বীমা কোম্পানি, ১০ শতাংশ প্রচলিত ব্যাংকসমূহের ইসলামিক শাখা ও উপশাখা এবং দেশি-বিদেশি ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুকুকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে ২০ শতাংশ সুকুক ব্যক্তি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্সুরেন্স প্রভৃতি বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রচলিত ধারার সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে, উল্লিখিত তিনটি শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন না পাওয়া গেলে, তাদের মধ্যে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেয়া হবে। নিবাসী ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবেন। অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে কার্যরত যেকোনো ব্যাংকে তাঁর/তাদের নামে পরিচালিত অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব অথবা অনিবাসী টাকা হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে, এবং মুনাফা, বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত আসল বৈদেশিক মুদ্রায় (সকল প্রকার প্রযোজ্য ফি এবং/অথবা কর কর্তনপূর্বক) প্রত্যাবাসন করতে পারবে।

ইসলামী ব্যাংক যশোর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি'র যশোর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা যশোরে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান এ কে এম মাহবুব মোরশেদ। এতে আরও বক্তব্য দেন যশোর জোনপ্রধান মোঃ শফিউল আজম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। সম্মেলনে যশোর জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক সকল সংকট কাটিয়ে সাফল্য ও আস্থার সাথে ব্যাংকিং কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। গ্রামীণ জনপদে ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী আর্থিক সেবাসমূহ এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন নতুন স্কীম ও প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যেই এজেন্ট ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি সততা,দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে যথাযথ নিয়মাচার পরিপালন করে সেবা প্রদান করার জন্য এজেন্ট মালিকদের প্রতি আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, জাতীয় উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। কৃষি, মৎস্য, ক্ষুদ্রশিল্প এবং অঞ্চলভিত্তিক ব্যবসায় চাহিদা অনুসারে বিনিয়োগ প্রদান করে ইসলামী ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ইসলামী শরী’আহ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম কানুন মেনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা দেবে সরকার: শ্রম উপদেষ্টা

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকোর লে-অফ হওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৩৩ হাজার ২৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বেতন বাবদ ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করবে সরকার। আগামী ৯ মার্চ থেকে এই বেতন বিতরণ শুরু করে রোজার মাঝামাঝি শেষ করা হবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেতন পাবেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানার ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এবং ১ হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তাকে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে। এ জন্য অর্থ বিভাগ তাদের পরিচালন ব্যয় থেকে ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং শ্রম মন্ত্রণালয় ঋণ হিসেবে বাকি ২০০ কোটি টাকা দেবে। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শুক্রবার বেক্সিমকো শিল্প পার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হবে। শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বেক্সিমকোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমন কিছু করবেন না যাতে আমাদের কঠোর হতে হয়। তিনি বলেন, ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকোর লে-অফকৃত প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ওই কমিটিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের একজন করে প্রতিনিধি এবং বেক্সিমকোর রিসিভারকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। বিডা চেয়ারম্যান এই কমিটিতে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে গত ২৪ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনকে আহ্বায়ক করে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে সরকার। বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গত ১৩ আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। ২৯ আগস্ট সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, পুত্রবধূ শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। পরে শেয়ার বিক্রিতে জটিলতা দেখা দেওয়ায় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়।