সেনাবাহিনীর প্রহরায় কার্যালয়ে ঢুকলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার


সেনাবাহিনীর প্রহরায় কার্যালয়ে ঢুকলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। 

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সংস্থাটিতে কাজ হচ্ছে না। ফলে বিএসইসিতে একপ্রকার অচল অবস্থা বিরাজ করছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কার্যালয়ে আসেনি কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনার। বিকাল ৩টার পরে তাঁরা কার্যালয়ে যোগদান করেন।

সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির মুখে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে কার্যালয় ছাড়েন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনার। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তাঁরা কেউ কার্যালয়ে আসেননি। সে কারণে পঞ্চম তলার কমিশন কার্যালয় একেবারেই ফাঁকা। চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের কক্ষের সামনের নামফলকগুলো ভাঙা, কারও নাম দেখা যাচ্ছে না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বিকাল ৩টার পরে সেনাবাহিনীর প্রহরায় তাঁরা কার্যালয়ে ঢুকেন।

এদিকে নির্বাহী পরিচালকসহ সংস্থাটির বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিদিনের মতো কার্যালয়ে এলেও কাজ করছেন না। বিএসইসির কার্যালয়ের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকালে ৮ থেকে ১০ জন বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ থেকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদেরও পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনা কেন্দ্র করে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিনভর বিক্ষোভ করেন।

এ সময় প্রায় চার ঘণ্টা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার ‘অবরুদ্ধ’ ছিলেন। পরে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে উদ্ধার করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×