প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৩২ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রপ্তানিকারক খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগুনে ঠিক কত পরিমাণ পণ্য নষ্ট হয়েছে, তা নিরূপণের কাজ শুরু করেছে রপ্তানিমুখী শিল্পের সংগঠনগুলো।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন তাদের সদস্যদের কাছে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে থাকা মোট পণ্যের পরিমাণ ও ক্ষতির প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট হবে।
এদিকে, বিমান চলাচল কবে স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। রপ্তানিকারকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকলে যেমন যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন, তেমনি বড় ক্ষতির মুখে পড়বে রপ্তানি খাতও।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় তৈরি পোশাক এবং পচনশীল পণ্য, যেমন সবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি। এছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও পণ্য ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পাঠানো হয়। এসব খাতে জড়িত ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কি পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকেরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’
সবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিএফভিএপিইএর সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কি পরিমাণ পণ্য ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’