স্ত্রী-সন্তান ও নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান


স্ত্রী-সন্তান ও নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত রাজনৈতিক জীবন। তবু দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার সামলেছেন যুক্তরাজ্যে বসে। প্রায় দুই দশক পর এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানিয়েছেন, প্রবাসে থেকেও বিএনপিকে সংগঠিত রাখা কতটা কঠিন ছিল এবং সেই যাত্রায় কে কে তাঁর পাশে ছিলেন।

তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে ৪৪ মিনিট দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দেন, যা নিয়েছেন বিবিসির বাংলা বিভাগের সম্পাদক মীর সাব্বির এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাদির কল্লোল। সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর।

বহু বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান বলেন, দেশের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য, ভৌগোলিক দূরত্ব এবং প্রত্যক্ষ যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমন বাস্তবতায় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর প্রবাস জীবনে আছি এবং অনেকগুলো বছর আমি বাংলাদেশের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা টাইম ডিফারেন্স, ডিস্টেন্স ডিফারেন্স তো আছেই। রিচিং ডিফারেন্স তো একটা ডিফিকাল্টিস তো আছেই। এটি একটি বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।”

এই কঠিন বাস্তবতায় যাদের সহায়তা তাকে পথ দেখিয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারেক। “এক্ষেত্রে প্রথমেই আমি আমার পরিবার অর্থাৎ আমার স্ত্রী এবং আমার সন্তানকে এখানে ধন্যবাদ দিতে চাই... ওনাদের সহযোগিতা ছিল সেজন্য আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে।”

সাক্ষাৎকারে দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন তিনি। বলেন, “আমি আবারও ধন্যবাদ দিতে চাই আমার লাখ লাখ নেতাকর্মীকে... দলকে রাজপথে নিয়ে যেতে শত অত্যাচার বাধাবিঘ্ন সহ্য করেছেন।”

যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিনের অবস্থান কী শিক্ষা দিয়েছে তাকে; এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, “এই দেশ থেকে ভালো যা কিছু দেখেছি বা শিখেছি, দেশের নাগরিক হিসেবে এবং যেহেতু আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হয়তো আমার একটি সুযোগ আছে দেশের জন্য ভালো কিছু করার।”

বিএনপির ২০২৩ সালের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নে তারেক বলেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে যে সংস্কারের প্রস্তাব এসেছে, তা নিয়ে তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তার ভাষায়, “আমরা সেখানে এখনো আছি... আমাদের অবস্থান থেকে তো আমরা অবস্থান পরিবর্তন করিনি।”

আলোচনার এক পর্যায়ে প্রশ্ন ওঠে, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রধান আপত্তির পেছনে কি এক ব্যক্তির হাতে তিনটি প্রধান পদ থাকার বিষয়টিই মূল কারণ? উত্তরে তারেক রহমান বলেন, “না, আমরা তো তখনো বলিনি যে এক ব্যক্তি তিন পদে থাকতে পারবেন না। এটা অন্যরা কেউ বলেছেন... আমরা মনে করি না যে, এটাতে স্বৈরাচারি হওয়ার কোনো কারণ আছে।”

তিনি আরও বলেন, অতীতে সামরিক শাসনের সময়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল এবং ক্ষমতাসীনরা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তার কথায়, “টু থার্ড মেজরিটি ২০০৮ সালে তারা নিয়েছিলেন। তারা ওটাকে চেঞ্জ করে ফেলেছেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রাখেনি।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×