কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত শুরু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:০৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ব্যাংক দখল, অর্থ লোপাট এবং অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে বিতরণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বিএফআইইউর সাবেক দুই প্রধান ও তাদের পরিবারের হিসাবও তলব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিএফআইইউ’র এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সম্প্রতি দেশের সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক দখল, অর্থ লোপাট এবং অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে ঋণ বিতরণ উল্লেখযোগ্য।”
তলব করা সাবেক গভর্নরদের মধ্যে আছেন আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। অভিযোগ অনুযায়ী, ফজলে কবিরের সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক দখল করে লুটপাট শুরু হয় এবং রউফ তালুকদারের মেয়াদে তা আরও বিস্তৃত হয়। বিশেষ করে রউফ তালুকদারের সময় অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটের সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
সাবেক ডেপুটি গভর্নরদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছেরের হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। সাবেক বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসও একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, আর আবু ফরাহ মো. নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে বিশেষ সুবিধা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান ও মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব, লেনদেন বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম ও পরিচয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ব্যাংকগুলোকে তলব করা হয়েছে। বন্ধ হিসাব থাকলেও এর তথ্য আলাদাভাবে জানাতে বলা হয়েছে।