টেকসই পোশাক শিল্প গড়ার জন্য কেমার্টের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ


টেকসই পোশাক শিল্প গড়ার জন্য কেমার্টের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ

বাংলাদেশের পোশাক খাতকে টেকসই ও দায়িত্বশীল করে তোলার জন্য একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নে কেমার্টের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি বলেন, একটি একীভূত আচরণবিধি নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজতর করবে, কারখানায় অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাবে এবং পুরো শিল্পকে আরও নৈতিক ও টেকসই পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিজিএমইএ’র সভাপতির সঙ্গে কেমার্টের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। ওই দলে ছিলেন কেমার্টের চিফ পিপল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ট্রিস্ট্রাম গ্রে, এথিক্যাল সোর্সিং বিভাগের প্রধান অ্যালবার্ট ইয়াং এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের এথিক্যাল সোর্সিং ম্যানেজার ওবায়েদ গাজী।

বৈঠকে মাহমুদ হাসান খান বলেন, সাসটেইনেবিলিটি বিজিএমইএর অন্যতম অগ্রাধিকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সুষ্ঠু শিল্পসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছি। তিনি শ্রমিক কল্যাণে সংগঠনের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়ানোর চলমান উদ্যোগগুলোর কথাও তুলে ধরেন।

ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, অর্থ সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালকগণ ফয়সাল সামাদ, নাফিস-উদ-দৌলা ও শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ।

বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল টেকসই পোশাক শিল্প গড়ে তোলায় পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ খোঁজা। কেমার্টের ট্রিস্ট্রাম গ্রে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অত্যন্ত মূল্যবান, ভবিষ্যতেও নতুন ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে।”

আলোচনায় বিজিএমইএর টেকসই শিল্প গঠনের অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরা হয় এবং এসব ক্ষেত্রে কেমার্ট কীভাবে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে মতবিনিময় হয়।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় একটি বাজার এবং বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার লাভ করেছে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি অস্ট্রেলিয়ায় কীভাবে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি কেমার্টকে আহ্বান জানান, তারা তাদের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অংশীদারিত্ব জোরদার করুক।

অস্ট্রেলিয়ায় বাজার সম্প্রসারণের জন্য মেলা আয়োজন এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়। কেমার্ট প্রতিনিধিদল জানায়, বিজিএমইএ থেকে যদি অস্ট্রেলিয়ায় কোনো বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়, তাহলে তারা সেই প্রতিনিধিদের অস্ট্রেলিয়া সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবে।

বিজিএমইএ কেমার্টকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শক্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং শিল্পের ইতিবাচক দিকগুলো প্রচারের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×