অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ২৪ ঘন্টার মধ্যে চালুর আল্টিমেটাম, না হয় কঠোর হুশিয়ারি


অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ২৪ ঘন্টার মধ্যে চালুর আল্টিমেটাম, না হয় কঠোর হুশিয়ারি

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সেবা পুনরায় চালু ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার, ১০ আগস্ট, অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংগঠনটির ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ২০০ জন এজেন্ট মালিক অংশ নেন।

এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।

বক্তারা মানববন্ধন থেকে জানিয়ে দেন, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চালু না হলে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে দেশের গ্রামীণ এলাকায় ৫৬৭টি এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা প্রাপক, প্রবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী ও সাধারণ জনগণকে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছিলেন তারা। তবে, কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই ২০ জুন ২০২৫ থেকে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেয় অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক এবং ৫ লাখ অনলাইন ব্যাংক ব্যবহারকারী চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। এছাড়া বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স গ্রহণকারী গ্রাহকরাও।

এছাড়াও, ৫৬৭ জন এজেন্ট মালিক এবং তাদের অধীনে কাজ করা প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের মতে, এসব উদ্যোক্তার সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ কয়েক শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

এজেন্টদের অভিযোগ, টানা ১৭ মাস ধরে কমিশন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ না করে বিল আটকে রেখেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। একজন এজেন্ট মালিক জানান, “২০ থেকে ২২ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকা লোকসানে পড়েছি।”

তাদের দাবি, অগ্রণী ব্যাংকের আচরণ শুধু তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতিই করেনি, বরং দেশের ব্যাংকিং সেবার স্বাভাবিক প্রবাহে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আদালত স্টে অর্ডার দিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় এখন কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×