গত বছরের ১৪ আগস্টের পর থেকে এক ডলারও বিক্রি হয়নি: গভর্নর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৯ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৫
ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক টানা এক বছর ধরে এক ডলারও বিক্রি করেনি বলে জানিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তার দাবি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিনিময় হার স্থির রাখার কৌশলের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক আলোচনায় এ তথ্য দেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
গভর্নর বলেন, “আমরা বুঝেছিলাম, মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা জরুরি। তাই নীতি ছিল—একটি ডলারও বিক্রি করবো না। গত বছরের ১৪ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত সেই নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক ব্যাংকের লাইন অব ক্রেডিট (এলসি) পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে প্রথম বৈঠকে দেখা যায় ২০০-র বেশি বিদেশি ব্যাংক এলসি বন্ধ করে দিয়েছে। “আমরা তাদের বলেছিলাম, এখানেই থামুন, আর বন্ধ করবেন না। যদি উন্নতি না হয়, তখন ব্যবস্থা নিন। এরপর আমরা কখনও বকেয়া রাখিনি এবং রাখবোও না।”
তার ভাষায়, তখন ২.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল, যা ধাপে ধাপে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে বিদেশি ব্যাংকগুলো আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে, এমনকি কেউ কেউ লাইন অব ক্রেডিটও বাড়িয়েছে।
দুবাইভিত্তিক এগ্রিগেটরদের বিষয়ে গভর্নর বলেন, “তাদের স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল—আমাদের নির্ধারিত ১২২ টাকার রেটে ডলার বিক্রি করতে হবে, নইলে তাদের কাছ থেকে ডলার কেনা হবে না। তারা চাইলে ডলার ধরে রাখতে পারে, কিন্তু আমরা জানি পাঁচ থেকে সাত দিনের বেশি তারা রাখতে পারবে না।”
তিনি মনে করেন, এসব উদ্যোগ দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।