অর্থনীতিবিদদের অন্তর দৃষ্টিতে দেখার পরামর্শ দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:৫৫ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫

সমালোচকদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘দেখতে হলে দৃষ্টি লাগে, অন্তর্দৃষ্টি লাগে।’
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস খাতে যেসব সংশোধনী এসেছে, তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন কর বছরের ই-রিটার্ন কার্যক্রম উদ্বোধনের জন্য এ সেমিনারের আয়োজন করে এনবিআর। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। বক্তব্য রাখেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “ক্রিটিসিজম আছে। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ কিছুই দেখেন না; আসলে দেখতে দৃষ্টি লাগে। অন্তর দৃষ্টি লাগে। যদি দেখতে না চায়, দেখতে পারবে না।”
তিনি বলেন, অর্থনীতির নানা উন্নয়ন ও ইতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরা প্রয়োজন। “আমাদের জুনিয়র অর্থনীতিবিদ, তারা কিছুই নাকি দেখেন না। আমি তাদের সবাইকে চিনি। ৭০ সাল থেকে শিক্ষকতা করি, সবাই আমার ছাত্র,” — উল্লেখ করেন ড. সালেহউদ্দিন।
সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি অর্জনগুলোও গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “গ্লাসের অর্ধেক খালি দেখে শুরু না করে উপরের ভর্তি অংশটাও দেখতে হবে। সূক্ষ্ম কিছু থাকতে পারে। তবে ‘সানশাইন ইজ দ্য বেস্ট এন্টিসেপটিক’। স্বচ্ছতাই সবকিছুর উত্তর।”
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল পদ্ধতিকে আরও সহজ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “আমার বয়স ৬৫-এর বেশি। খুব টেক-সেভি নই। শুধু মেসেজ আর ইমেইল দিতে পারি। কিছু জটিলতা হলে আটকে যাই। এটি যেন এমন হয়, যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে। আমি মনে করি এটা ইউনিভার্সাল একটা সিস্টেম হওয়া উচিত।”
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা বলেন, বাজেট ঘোষণার পর সরকার সংবাদ সম্মেলন করলেও এনবিআরের পক্ষ থেকে কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানানো হয় না। এতে অনেক ভুল বোঝাবুঝির জন্ম হয়। তিনি প্রস্তাব করেন, বাজেটের পরে সাংবাদিকদের নিয়ে একটি আলাদা সেমিনার আয়োজন করা উচিত যাতে পরিবর্তনগুলো সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
সেমিনারে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নতুন অর্থবছরের কর ব্যবস্থা এবং প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়াও কর, ভ্যাট এবং কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।