সরকারি জমি আর মিলবে না প্রতীকী দামে: জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৫৯ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫

সরকারি জমি বরাদ্দে প্রতীকী মূল্যের যুগ শেষ—এবার থেকে যারাই নিতে চাইবে, দিতে হবে সঠিক মূল্য। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এদিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকারি জমি যারাই নিতে চাইবে অর্থ দিয়ে নিতে হবে।
চট্টগ্রামের জলিল টেক্সটাইল মিলসের ৫৪.৯৯ একর জমি বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) বা বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয় বৈঠকে। জমিটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন স্পষ্ট করে বলেন, জলিল টেক্সটাইল মিলস সেনাবাহিনী নিতে চাচ্ছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি প্রতীকী মূল্যে দেবো না। এখন থেকে প্রতীকী মূল্যটা এভয়েড (এড়িয়ে) করব। যারাই নিতে চাই অর্থ দিয়ে নেবে। কারণ প্রতীকী মূল্যে দিলে যারা নিয়ে যায়, তারা ঠিকমতো ইউটিলাইজ করে না।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কি সেনাবাহিনীর কাছে জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়নি? জবাবে তিনি জানান, সেনাবাহিনীকেই জমি দেওয়া হবে, তবে নির্ধারিত মূল্যে। তিনি বলেন, তাদেরকেই দেওয়া হবে, তবে মূল্যটা নির্ধারণ করে প্রস্তাব আসতে হবে।
এ সময় আরও কিছু প্রশ্ন ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনা সংক্রান্ত আলোচনায় এক সাংবাদিক জানতে চান, এই ক্রয়ে কত খরচ হবে। তবে এ প্রশ্নের কোনো নির্দিষ্ট উত্তর দেননি অর্থ উপদেষ্টা।
আরেক সাংবাদিক বলেন, বোয়িং দিয়েতো বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে না। আর কি কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হবে? জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আরও আছে, ওই প্যাকেজ নিয়ে গেছে, কি কি কিনতে হবে।
সামরিক সরঞ্জামও কিনতে হবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমি বলব না। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনকে এই প্রশ্ন করেন।