ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোলে দাঁড়িয়ে আছে পোশাকভর্তি ৩৬টি ট্রাক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:১৪ পিএম, ১৮ মে ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে তৈরি পোশাক আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার ফলে রোববার সকাল থেকে কোনো পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাকবোঝাই ৩৬টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আটকে আছে। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ভারত বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
রফতানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পোশাকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। এতে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা ক্ষতির মুখে পড়বে। বেনাপোল স্থলবন্দরের তুলনায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে পণ্য ভারতে পাঠাতে দ্বিগুণ খরচ হবে। একইসঙ্গে পণ্য পৌঁছাতেও বেশি সময় লেগে যাবে। এতে ক্রয়াদেশ কমে যাবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক মাসের মাথায় ভারতের এই পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিলো। যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার কথা বলেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছর (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৭ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকার পণ্য ভারতে রফতানি করেছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি করেছে ১৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রফতানি হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার পণ্য। যেসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ছে, তার মধ্যে ভারত একটি। যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৭০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশের মতো পোশাকপণ্য স্থলপথেই রফতানি হয়। ফলে ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা এই খাতের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দেখা দেবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
শনিবার রাতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর এক বিবৃতিতে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, গার্মেন্টস/তৈরি পোশাক পণ্যসহ সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর ফলে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় ৩৬টি পণ্যবোঝাই বাংলাদেশি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে। নিষেধাজ্ঞার আদেশে বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, গার্মেন্টস/তৈরি পোশাক পণ্যসমূহ শুধু কলকাতা সমুদ্রপথে আমদানি করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।