মহানগর আদালতেও লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বাতিল
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:১৬ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন দ্বিতীয়বারের মতো খারিজ হয়ে গেল। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পর এবার মহানগর দায়রা জজ আদালতও তার জামিন মঞ্জুর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার, ৫ অক্টোবর, ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এই আদেশ দেন। শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহমিনা তাহেরিন মুন জামিনের আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির মুখে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটি শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা হয়। এর আগে, গত ২৯ আগস্ট একই মামলায় লতিফ সিদ্দিকীসহ মোট ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী এবং মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মামলার বাদী লক্ষ্য করেন, কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে অবস্থানরত অন্যদের ঘিরে ধরে “আওয়ামী ফ্যাসিস্ট” বলে স্লোগান দিচ্ছেন। ওই সময় বক্তব্য দিচ্ছিলেন সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ই আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ওইদিন একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।”
জিজ্ঞাসাবাদে আরও উঠে আসে যে, ওই গোল টেবিল বৈঠকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের পাশাপাশি আরও ৭০-৮০ জন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, “আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (৭৫) মঞ্চ ৭১ এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করে বক্তব্য প্রদান করছিলেন। তার এই ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের জন্য উপস্থিত লোকজন তাদেরকে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। পরস্পর সহায়তাকারী হিসেবে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার অপরাধ করেছেন।”