জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৩২ এম, ২৫ আগস্ট ২০২৫

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, আজ চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে তিনজন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা হলেন— রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিন, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম।
সেদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাদের জেরা করেন। অন্যদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষে অংশ নেন মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ আরও কয়েকজন। এ পর্যন্ত মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ হয়েছে।
গত ২০ আগস্ট ষষ্ঠ দিনে সাক্ষ্য দেন চারজন— ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না এবং শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল।
এর আগে ১৮ আগস্ট পঞ্চম দিনের শুনানিতে সাক্ষ্য দেন শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল ও প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন। ১৭ আগস্ট চার সাক্ষীর মধ্যে ছিলেন— সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম।
৬ আগস্ট সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। এর আগে ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন। মামলার প্রথম দিনে, ৩ আগস্ট, সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে হাজির হন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।
উল্লেখ্য, মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন। তবে তিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।