আল-আরাফাহ ব্যাংকে ৫৪৭ জনের চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৫২ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৫

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে অপসারণ করা ৫৪৭ কর্মকর্তার পুনর্বহালের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত রুলও জারি করেছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট), বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী।
এর আগে, ব্যাংক থেকে অপসারিত ৩০০ কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ জুলাই, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এবং কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৫৪৭ জন কর্মকর্তাকে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে অপসারণ করে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া এবং কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের জন্য আবেদন করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, “উল্লিখিত ব্যাংকে দেশের বিভিন্ন শাখা এবং বিভাগে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত থেকে সুনাম, আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠা সহকারে ব্যাংকের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে গত ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে আকস্মিকভাবে আমাদের অফিশিয়াল ই-মেইলে লেটার অব টার্মিনেশন প্রেরণ করা হয়। আমাদের চাকরিচ্যুতির জন্য আদৌ কোনো যৌক্তিক কারণ না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং আইনবিরোধীভাবে মিথ্যা অজুহাতে অপসারণ করা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ এবং কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। পরিকল্পিতভাবে আমাদের মূল্যায়ন টেস্টকে চাকরিচ্যুতির কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে এবং আমাদের পদের বিপরীতে নতুন নিয়োগের অশুভ প্রচেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার নং ০৪ এর ৩.৬ ক্রমিকে নিম্নরূপ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, শুধু নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে ব্যাংক-কোম্পানির কর্মকর্তাগণকে প্রাপ্য পদোন্নতি হতে বঞ্চিত করা যাবে না। অনুরূপ অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না, অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।”
আরও উল্লেখ করা হয়, “আমাদের অপসারণ উপরযুক্ত প্রবিধি ও নীতি অনুসারে সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এই চাকরিচ্যুতির ফলে আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে চরম আর্থিক সংকট ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। অধিকন্তু আমাদের অনেকেরই চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করায় বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। আমাদের প্রতি এই অন্যায়ের প্রতিকারে আপনার সহৃদয় ও স্ব স্ব পদে পূর্ণবহাল এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবুল আবেদন জানাচ্ছি।”
এই আবেদনে সাড়া না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।