বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে: কনস্টেবলকে বিচারক
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কনস্টেবল সাফিউর রহমানকে নারী কনস্টেবলকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আসামির রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
এইদিন আসামি সাফিউরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জুলফিকার আলীর পক্ষে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানিকালে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালত সাফিউরের কাছে জানতে চান, তিনি ওই নারীকে বিয়ে করেছেন কিনা। জবাবে সাফিউর বলেন, “তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবেন।” এরপর আদালত জানতে চান, “আপনার স্ত্রী আছে?” উত্তরে সাফিউর জানান, “গ্রামের বাড়িতে এক বছর আগে বিয়ে করেছি।”
বিচারক তখন প্রশ্ন করেন, “বউ রেখে আরেকজনের সাথে প্রেম করেন কেন?” জবাবে সাফিউর বলেন, “ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তাকে বিয়ে করবেন।” এ সময় আদালত মন্তব্য করেন, “সে (ভিকটিম) তো মামলা দিয়েছে। ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার সমাধান করুন। বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?”
তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন এবং সাফিউরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার ওই নারী কনস্টেবল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টার মধ্যে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশে নারী ব্যারাকে ভিকটিমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে বিবাহের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করেন সাফিউর।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত পাঁচ মাস ধরে সপ্তাহে দুইবার করে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেসব অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও আইফোনে ধারণ করে ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইলও করেন সাফিউর।
মামলার পর ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।