‘এখন কাউকে ধরতে যৌক্তিক কারণ লাগে না, তবে সত্যের জয় হবে’
- প্রকাশঃ ০৭:৩৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান রাসেল হত্যা মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ’র আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই মেহেদী হাসান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী তন্ময় ভৌমিক রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানান। তবে উভয়পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত থেকে বের হওয়ার সময় মাহমুদুর রহমান জনি সাংবাদিকদের বলেন, দেশে এখন কাউকে ধরতে যৌক্তিক কোনো কারণ লাগে না। তবে সত্যের জয় হবে। পুলিশ তাকে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যায়।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, জনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে আছেন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তাকে শুধুমাত্র সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই বিশ্বজিৎ দেবনাথ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের মুক্তির মোড়ে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন ছাত্রদল নেতা ও ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে রাসেল। সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাইদুর রহমান ১৬ সেপ্টেম্বর সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।