অ্যাটর্নি জেনারেল
বিশ্বে স্বৈরাচারদের সমিতি হলে সভাপতি হবেন শেখ হাসিনা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:০৪ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারদের ‘সভাপতি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তার ভাষ্য, বিশ্বে স্বৈরশাসকদের কোনো সংগঠন থাকলে শেখ হাসিনা সেখানে সভাপতির জায়গা পেতেন।
রোববার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলার সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আক্রোশ নেই, বরং আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে খুন, গুম, ভোট কারচুপি ও দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে। এসব অন্যায়ের জবাবদিহি নিশ্চিতে ইতিহাসস্মরণীয় একটি বিচার হওয়া উচিত বলেও মত দেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, শুধু আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, নৈতিক দৃষ্টিতেও শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি ইংল্যান্ডের শাসক অলিভার ক্রমওয়েলের উদাহরণ দেন—যাকে মৃত্যুর পরও প্রতীকীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, “আমরা সে ধরনের প্রতিহিংসা চাই না; আমরা চাই ন্যায়ভিত্তিক বিচার।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে রাত্রিকালীন ভোট, গুম-খুন, অর্থপাচারসহ নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে জুলাই আন্দোলন, যার পরিণতিতে শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভা দেশ ছাড়ে। এমন ঘটনা ইতিহাসে খুবই বিরল।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইন কর্মকর্তা বলেন, এ বিচার শুধু অপরাধের বিচার নয়, এটি একটি যুগসন্ধিক্ষণের প্রতীক হয়ে থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, আদালতের রায়ের মাধ্যমে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে।
এদিন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল-১ প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম শুরু করে।