ইট’স নট ট্রু, আদালতে এ বি এম খায়রুল হক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১১:৪৮ এম, ৩০ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া রায় জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, "ইট’স নট ট্রু"।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। পরে মাথায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতে হাতকড়া পরানো অবস্থায় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তাকে এজলাসে তোলা হয়। মাত্র ১০ মিনিট পর শুরু হয় শুনানি।
শুনানিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শাহবাগ থানার পরিদর্শক খালেক মিয়া, আদালতে বলেন— এ বি এম খায়রুল হকের দেওয়া একটি রায়ের ফলে দেশের তিনটি প্রজন্ম ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি কেন এমন রায় দিয়েছিলেন, কার নির্দেশে দিয়েছিলেন এবং এই ষড়যন্ত্রে আর কারা জড়িত ছিলেন— এসব জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ জন্য তিনি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আজিজুল হক দিদার বলেন, “রিটায়ার্ড হওয়ার ১৬ মাস পর তিনি এই রায় দেন। শেখ হাসিনার সরকারকে স্বৈরাচার প্রমাণ করার উদ্দেশ্যেই এই রায় দেওয়া হয়। এর ফলে দীর্ঘদিন আমাদের বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।”
এই বক্তব্যের পর এ বি এম খায়রুল হক সংক্ষেপে বলেন, "ইট’স নট ট্রু"।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া রায়টি অত্যন্ত বিতর্কিত ছিল। এটি দণ্ডবিধির ২১৯ ও ২৬৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলার আওতায় পড়ে, যেখানে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদের পথ খুলে দেওয়া হয়। শেখ মুজিবুর রহমান যা করেননি, তিনি তা করেছেন। দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলকে মুছে ফেলেন।”
শামসুদ্দোহা আরও দাবি করেন, রিমান্ডে নিলে জানা যাবে, এ রায়ের পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ঘনিষ্ঠ কিছু বিচারপতি ও বিদেশি শক্তির কোনো ষড়যন্ত্র ছিল কি না।