সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:৫৯ এম, ৩০ জুলাই ২০২৫

জাল রায় প্রণয়নের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “৮টার কিছু পর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করেছি আমরা। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
২০২৩ সালে শাহবাগ থানায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অভিযোগ আনা হয়— তিনি বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ‘দুর্নীতিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক’ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান করেন এবং একটি ‘জাল রায়’ তৈরি করেন।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এ বি এম খায়রুল হক দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ করে অবসরে যান।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ১৩ আগস্ট তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি।
খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক রায়ের মাধ্যমে নানা বিতর্কের জন্ম দেন। তার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে। এছাড়াও তার আমলে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে প্রণীত পঞ্চম সংশোধনী, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের সময় করা সপ্তম সংশোধনী বাতিল করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে রায় দেওয়া, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে অপসারণের বৈধতা দেওয়া, বেগম খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাসভবন সংক্রান্ত রায়সহ একাধিক আলোচিত রায়ও তার সময়েই হয়।