আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৬ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:২১ এম, ২৯ জুলাই ২০২৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ছয় অভিযুক্তকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
হাজির হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরীসহ আরও দুইজন।
এ মামলায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জন এখনও পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে তাদের শুনানি শেষ করেছে। আসামিপক্ষের শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
এই মামলার শুনানি পরিচালনা করছেন ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ ও অভিযোগ আদালতে উপস্থাপন করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে শুনানি।
এর আগে ২২ জুলাই পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে চারজন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই আদালত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ শুনানির দিন নির্ধারণ করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আরও ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও মঈনুল করিম।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “৩০ জন আসামির মধ্যে ২৪ জন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলবে।”
পলাতক ২৪ জনের পক্ষে চারজন আইনজীবী দায়িত্ব পালন করবেন, অর্থাৎ ছয়জনের জন্য একজন করে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হাজির ছয়জন আসামির মধ্যে দুজন এখনও আইনজীবী নিয়োগ করেননি, এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের জবাব চেয়েছে।
১৩ জুলাই একই ঘটনায় সম্পৃক্ত আরেক মামলার দুই আসামি রাসেল ও পারভেজকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতকদের গ্রেপ্তারের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গ্রহণ করেন আদালত এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।