ঘটনার সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না: নুসরাতের আইনজীবী


1747636065-8c6900c1ae88542812088288314376b5.jpg

নুসরাতের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান বলেছেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে, এই ঘটনার সময় নুসরাত বাংলাদেশে ছিলেন না। তখন তিনি কানাডাতে ছিলেন।

সোমবার (১৯ মে) নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হুসাইন সিফাত।

তিনি বলেন, সরকার পক্ষের আইনজীবী যে বলেছেন- তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন, বিষয়টি যুক্তিযুক্ত না। নুসরাত এর আগেও একাধিকবার দেশের বাইরে যাওয়া-আসা করেছেন। ২৫৮ জন আসামীর মধ্যে আমার মক্কেল (নুসরাত ফারিয়া) ২০৭ নম্বর।
 
তিনি বলেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়া পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে এই ঘটনার সময় উনি বাংলাদেশে ছিলেন না। উনি কানাডাতে অবস্থান করছিলেন। সেটার প্রমাণ হিসেবে আমরা পাসপোর্টের ডিপার্টচার ও অ্যারাইভাল যে কাগজটা আছে সেটা আদালতে পেশ করি। আদালত সেটা গ্রহণ করে এবং আদালত এটা পুলিশকে দেয়।
 
নুসরাতের আইনজীবী বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়েও তিনি দেশের বাইরে ও ভেতরে কাজ করেছেন। দেশের বাইরে কয়েকবার গিয়েছেন। পালাতে চাইলে তিনি বর্ডার ক্রস করে পালাতে পারতেন। বিমানবন্দরে যেতেন না। সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে নুসরাতের কোনো যোগাযোগ হয়েছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্দুল হামিদের সঙ্গে নুসরাত সম্পৃক্ত নয়। এছড়া আজ নুসরাতের সঙ্গে বিশেষভাবে কথা বলার সুযোগ হয়নি।

ফের ২২ তারিখে শুনানি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আদালত ন্যায়বিচারের পক্ষে রায় দেবেন।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। ৩ মে ভুক্তভোগী এনামুল বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় নুসরাত ফারিয়াকেও তিনি আসামি করেন। মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×