৯ মাসে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ১৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:১১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রিজিয়নের ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার, চোরাচালান দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছে। রিজিয়নের আওতাধীন ১৩টি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় দিনরাত অভিযান, নজরদারি ও নিরাপত্তা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছেন।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে চট্টগ্রাম রিজিয়নের বিজিবি ২৭ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে। এসব অভিযানে প্রায় ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য ও চোরাচালান সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির যামিনী পাড়া ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন।
তিনি জানান, চলমান অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালান পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৫ রাউন্ড গুলি, এক হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩৩০ কেজি গাঁজা, ৮৪০ পিস ইয়াবা, এবং ৪৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগল। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, বিদেশি সিগারেট, কাপড় ও আতশবাজি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন আরও বলেন, “সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে সদস্যরা সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।”
তিনি যোগ করেন, “চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধ দমনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্ত রক্ষা শুধু নিরাপত্তার বিষয় নয়, এটি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সম্প্রীতি রক্ষায়ও আমরা কাজ করছি।”
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চট্টগ্রাম রিজিয়নের সীমান্ত এলাকায় মাদক, অস্ত্র ও গবাদিপশু পাচার ঠেকাতে একাধিক সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ২৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক আবুল লেইচসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।