গাইবান্ধায় এসপি, ওসির বিরুদ্ধে এসআইয়ের স্ত্রীর মামলা
- গাইবান্ধা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৩৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধায় একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে পুলিশ সুপার (এসপি), সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতে বাদী হিসেবে উপস্থিত হন এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন। তিনি তার স্বামীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জবরদস্তি আটক রাখার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে—গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম তালুকদার এবং লালমনিরহাট জেলার তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩)। এছাড়া আরও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এসআই মনিরুজ্জামান গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার আত্মীয় এবং পারিবারিক শত্রু তারেকুজ্জামান তুহিন পারিবারিক বিবাদে তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্ষতি করার জন্য গাইবান্ধা এসপি কার্যালয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার ও ওসি মনিরুজ্জামানকে এসপি কার্যালয়ে ডেকে পাঠান।
মনিরুজ্জামান এসপি কার্যালয়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ তার মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যান। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ডিভাইসগুলো সদর থানার ওসির কাছে জমা রাখেন।
প্রসঙ্গত, মনিরুজ্জামানকে ভয় দেখানো হয়েছিল যে বিষয়টি বাইরে এলে তার চাকরি নষ্ট হবে এবং ভাড়াটিয়া গুণ্ডার মাধ্যমে তাকে গুম করার হুমকিও দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পরিবারকে বিষয়টি জানান এবং পরে নিরাপত্তার জন্য আদালতে মামলা করেন।
আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমলী আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।