নৌপুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, তিন দিন পর মিলল রাসেলের লাশ


নৌপুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, তিন দিন পর মিলল রাসেলের লাশ

নৌপুলিশের স্পিডবোটের ধাওয়ায় তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর উদ্ধার হলো রাসেল খানের লাশ। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে চন্দ্রদ্বীপের বাতির খাল পয়েন্ট থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে নদীর প্রবল স্রোতের কারণে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও পুলিশ টানা কয়েক ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও রাসেলকে খুঁজে পায়নি। নিহত রাসেল খান (৩৫) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ডালিমা গ্রামের ইউসুফ খানের ছেলে। পেশায় তিনি একজন দর্জি ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাসেল প্রতিবেশী তিন বন্ধু রাকিব, হাসান ও মাহবুবের সঙ্গে ট্রলারযোগে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কম দামে ইলিশ মাছ কিনতে নদীতে যান। ওই সময় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালানো নৌপুলিশের স্পিডবোট তাদের ট্রলারকে ধাওয়া করে। ট্রলারটি দ্রুত চালালেও তারা রক্ষা পাননি—শেষ পর্যন্ত রাসেল নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।

কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সঙ্গে আমরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও প্রথমে রাসেলকে খুঁজে পাইনি। নদীতে স্রোত বেশি ছিল। মা ইলিশ রক্ষাকারী স্পিডবোট দেখে ভয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।”

বাউফল থানার ওসি আখতারুজ্জামান সরকার জানান, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নৌ ফাঁড়ির পুলিশ অবস্থান করছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ময়নাতদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×