এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:২৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করবেন না।
এর আগে, পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে এবং বাড়িভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজে ক্লাস কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার “অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব”। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন।
গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড (শব্দ বোমা) নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
রোববার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে ঘুমান। তাদের ঘোষণা—প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
একই সঙ্গে সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করছেন। প্রতিদিন তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না। পাঠদান বন্ধ রেখে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ, শিক্ষক লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে বসেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা, যা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন আরও জোরদার করছে।