ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ, যাত্রীদের ভোগান্তি
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:২৭ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

ফৌজদারহাটে ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন, যা ওই অঞ্চলের যান চলাচল স্থবির করে দেয় এবং যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে শতাধিক প্রভাবিত কর্মকর্তা অংশ নেন। তারা ব্যাংকের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতি এবং পদচ্যুত সংক্রান্ত নানা অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ থাকায় সেখানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তিও তীব্র হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করে। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মুজিবুর রহমান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্ষম হন। পরে ওসির আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রায় ৪০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মবিরুদ্ধভাবে নিয়োগ ও অন্যান্য অভিযোগ। গত শুক্রবার ছয় দফা দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ওএসডি এবং চাকরিচ্যুত কর্মীরা আগামী রবিবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তাদের দাবি হচ্ছে চাকরিতে পুনর্বহাল, ওএসডি অপসারণ, শাস্তিমূলক বদলির সমাধানসহ ছয় দফা।
২০১৭ সালের পর থেকে ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ হাজার ৩৮৫ জন কর্মকর্তার বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। তবে পরীক্ষায় মাত্র ৪১৪ জন অংশ নেন। এই পরীক্ষা চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে ৪ হাজার ৯৭১ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়। এছাড়া পরীক্ষার বিরোধিতা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে দুই দফায় ৪০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগ্রুপ এস আলমের হাতে আসার পর অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের অভিযোগ বেড়েছে, যা এই কর্মসূচির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তাদের আন্দোলন ও কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে তারা তাদের দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।