সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

এক দশকের পুরোনো ঋণ জটিলতার প্রেক্ষিতে প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি অর্থঋণ আদালত। সিটিসেল নামে পরিচিত বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের ঋণখেলাপি মামলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অর্থঋণ আদালত-৫ এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। মামলায় বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) পক্ষ থেকে করা আবেদনে ৪৯ কোটি ৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আদালত তাঁর আদেশে বলেন, “১০ বছরের বেশি সময় আগে নেওয়া ৪৯ কোটি টাকারও বেশি ঋণ ফেরত না দেওয়ার কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে হবে।”

যাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের মধ্যে মোরশেদ খানের পাশাপাশি রয়েছেন তাঁর স্ত্রী নাসরিন খান ও পুত্র ফয়সাল মোরশেদ খান। এ ছাড়া তালিকায় রয়েছেন সিটিসেলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিম, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা ও জাপানি নাগরিক হিরোয়ুকি কন্ডোহ, সিঙ্গাপুরের নাগরিক ইয়ো এং চোক, এলান ওং তুয়ান কেং এবং এডগার হার্ডলেস। প্রত্যেকের ঠিকানা হিসেবে আদালতের নথিতে ঢাকার মহাখালীর প্যাসিফিক সেন্টার উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালত ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করে ছয় মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ প্রদান করেন। পরোয়ানাগুলো জারি করা হয়েছে অর্থঋণ আদালত আইনের ৩৫ ধারার আওতায়।

তবে মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে একমাত্র সাবেক চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) সাজ্জাদ রহিম চৌধুরীকে গুলশান থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন।

সাজ্জাদ রহিম চৌধুরী ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিটিসেলে সিএফও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মামলার নথি অনুযায়ী, তিনি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কোনো পরিচালক ছিলেন না, এমনকি গ্যারান্টর হিসেবেও সম্পৃক্ত ছিলেন না। কেবল বেতনভুক্ত একজন কর্মচারী ছিলেন তিনি। আদালতে তাঁর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলার সমনের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা হয়নি। এসব বিবেচনায় আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ইউসিবি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি সংশ্লিষ্ট এ মামলা ২০১৪ সালের জুন মাসে দায়ের করা হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×