সিসিকের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের বাড়িতে দুদকের নোটিশ


সিসিকের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের বাড়িতে দুদকের নোটিশ

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে তথ্য পেয়েছে তা হলো তাঁর জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের আলামত মিলেছে। এ অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে দুদক সাবেক মেয়রের দুইটি আবাসিক স্থানের দরজায় অফিসিয়াল নোটিশ সাঁটিয়েছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম তিলপাড়া গ্রামে আনোয়ারুজ্জামানের পৈত্রিক বাড়ি এবং নগরের পাঠানটুলার তাঁর বাড়ির বহির্গামী স্থানে নোটিশটি সংযুক্ত করেন। সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে আনোয়ারুজ্জামান পলাতক রয়েছেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীর স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, দায় এবং আয়ের উৎসের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। জমা দেওয়ার পর কমিশনের কাছে সন্তোষজনক মনে হলে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তবে জমা না দিলে আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোটিশে বলা হয়েছে সম্ভাব্য অতিরিক্ত সম্পদ, দায় ও আয়ের উৎসের বিবরণ ঠিক সময়ের মধ্যে না প্রদান করলে দুদক আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এ প্রসঙ্গে লন্ডনে থাকা মো. আনোয়ারুজ্জামানকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমার জ্ঞাত আয়‑বহির্ভূত এক টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ বের করতে পারলে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পদ লিখে দেব। আমাকে ভয় দেখাতে এসব নাটক মঞ্চস্থ করছে। আমি বাংলাদেশ তথা সিলেটের মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। আমৃত্যু করে যাব। সুতরাং, ভয় দেখিয়ে আমাকে থামানো যাবে না।

দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে এবং তারা নথি‑প্রমাণ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×