রাবিতে পোষ্য কোটা ঘিরে উত্তেজনা, শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:৫১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার দাবিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার বিকেলে জুবেরী ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের একাংশের মধ্যে সরাসরি ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে, যা পরে অবরোধ ও বিক্ষোভে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৪টার দিকে জুবেরী ভবনে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান ও প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে সেখানে জড়ো হন। তাদের ঘিরে ধরে দাবি তোলা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে উপ-উপাচার্যকে দ্বিতীয় তলার বারান্দায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
এর আগে দুপুরে উপ-উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ফলে বাসভবনে প্রবেশ করতে না পেরে অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান ফিরে আসেন এবং পরে জুবেরী ভবনের দিকে রওনা হন।
জুবেরী ভবনে পৌঁছানোর সময় এক শিক্ষক ও ছাপাখানার একজন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের থামাতে গেলে সেখানে ধাক্কাধাক্কির সূচনা হয়। এই ধাক্কাধাকিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার, ছাত্র অধিকার পরিষদের শাখা সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শুভসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় প্রশাসন ভবনে উপ-উপাচার্য স্যারের গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি হেঁটে বাসায় যেতে থাকেন। তাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। পরে পাশেই জুবেরী ভবনে আলোচনার জন্য চেয়েছিলেন। জুবেরী ভবনে প্রবেশ করার সময় সামনে এসে শিক্ষার্থীরা দাঁড়ান। তখন এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। কী, কে, কীভাবে শুরু করে জানি না।’
বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপ-উপাচার্যসহ উপস্থিত শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। পোষ্য কোটার সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরেই চলছে, আর শনিবারের ঘটনাটি সেই ধারাবাহিক উত্তেজনারই সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।