মাজারে হামলাকাণ্ডে জড়িত ইমামসহ গ্রেপ্তার ১৮
- রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৩০ এম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মাজারকেন্দ্রিক সহিংস ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলা, ভাঙচুর, সম্পদ লুটপাট, কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার মতো একাধিক ঘটনায় এসব গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে আছেন স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম লতিফ, যিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। ভোরে তাকে মানিকগঞ্জের চর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
প্রেস উইং আরও জানায়, নিহত রাসেল মোল্লার বাবা মো. আজাদ মোল্লা (৫৫) বাদী হয়ে সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মাজার ভাঙচুর, হামলা, লুটপাট এবং কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ আগস্ট। ওই দিন মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। পরে তার অনুসারীরা দরবারের ভেতরে তাকে দাফন করে এবং কবরের ওপর ১০–১২ ফুট উঁচু একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, স্থাপনাটি মক্কার কাবা শরিফের আদলে তৈরি। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে আপত্তি ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর শত শত মানুষ দরবার শরিফে হামলা চালায়। এ সময় নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঘটনাকে ঘিরে নুরালের অনুসারী এবং ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি-র ব্যানারে স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে একজন নিহত এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ২২ জন আহত হন।
পুলিশ ও প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাথর নিক্ষেপ ও মারধরে আহত হন পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা।