চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে নিহত ২, আহত ৮

চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের র‍্যালিতে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে এবং পদদলিত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত আরও ৮ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনা ঘটেছে আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে।

মৃত দুইজন হলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী (৬০) ও নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার কিশোর সাইফুল ইসলাম (১৩)। তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জুলুসের র‍্যালিতে প্রচণ্ড গরমের কারণে আইয়ুব আলী অসুস্থ হয়ে সড়কে পড়ে যান। সেই সময় ভিড়ে পদদলিত হন তিনি। অন্যদিকে মুরাদপুর এলাকায় মানুষের ভিড়ে চাপা পড়ে আরও ৭-৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম মারা যান। আহত মাহফুজ (৩৫) এবং এক কিশোরকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আঞ্জুমানের স্বেচ্ছাসেবক মো. আমিনুর রহমান বলেন, জুলুসে প্রচণ্ড ভিড়ে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। পাঁচজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যাদের মধ্যে দুইজন মারা যান। একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এবং বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন। আহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছেন।

জুলুসটি সকাল ১০টায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শুরু হয়। এ বছরের র‍্যালুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্। এতে উপস্থিত আছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ, সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ ও আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

জুলুসের আয়োজন করেছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, আর সার্বিক সহযোগিতা করেছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।

জুলুসটি ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর-২ নম্বর গেট-জিইসি মোড় হয়ে পুনরায় ২ নম্বর গেট-ষোলশহর-মুরাদপুর-বিবিরহাট-জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে শেষ হয়। সেখানে মাহফিল, জোহরের নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।