ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৪ ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার


ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৪ ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাকে বিভক্ত করে আলগী ও হামিদী ইউনিয়নকে নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। প্রায় চার ঘণ্টা পর উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন এবং তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক এবং সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়।

দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সহমত জানান। তিনি বলেন, “বিষয়টি ইতোমধ্যেই আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে আবারও অনুরোধ জানাব যাতে ভাঙ্গাকে বিভক্ত করা না হয়।” এছাড়াও ইউএনও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

অবরোধকারীদের মধ্যে ভাঙ্গার হামিরদীর বাসিন্দা কাজী আরিফ বলেন, “ইউএনওর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। তবে আমরা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমাদের ভাঙ্গার বিভাজন রোধ করা না হলে পুনরায় কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, “অবরোধকারীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দুটি মহাসড়কের অন্তত পাঁচটি জায়গায় অবরোধ করে। অবরোধের কারণে ওই দুটি মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।” তবে তিনি বলেন, অবরোধ চলাকালে কোনো সহিংসতা বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেনি।

ইউএনও মিজানুর রহমান আরও বলেন, “ভাঙ্গাবাসীর দাবির প্রতি আমি সহানুভূতিশীল। ভাঙ্গা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। এই বিভাজন রোধের জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×