চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে: চসিক মেয়র
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৪৫ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া চট্টগ্রামকে আধুনিক, উন্নত ও পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তর করা সম্ভব নয়।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) চসিকের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটির ষষ্ঠ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নগরবাসীর ভোগান্তি কমানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মেয়র বলেন, আগে ডোর-টু-ডোর বর্জ্য সংগ্রহে নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা ছিল না। ফলে যে যার মতো টাকা আদায় করত। এখন আমরা সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছি বাসা প্রতি ৭০ টাকা। যদি কেউ এর বেশি অর্থ আদায় করে, প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করা হবে। দোকান ও শিল্পকারখানার জন্য আলাদা রেট ঠিক করা হয়েছে। তবে ভাসমান দোকান থেকে টাকা নেওয়া যাবে না, কারণ এগুলো অবৈধ এবং নিয়মিত উচ্ছেদ করা হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি শিশুদের নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিলে মেয়র জানান, চসিক স্কুলগুলোতে ইতোমধ্যেই হেলথ কার্ড চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, শিশুদের শুধু পরিচ্ছন্নতাই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। তাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নাগরিক দায়িত্ব শেখানো হচ্ছে। ধাপে ধাপে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে। এ ছাড়া চিকিৎসক সংকট কাটাতে নতুন ডাক্তার ও কনসালটেন্ট নিয়োগ এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ৫০ হাজার লিফলেট বিতরণ করেছি, সংবাদপত্রে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। ৪১টি ওয়ার্ডের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণ করে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।
সভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, ফুটপাত ও রাস্তার পাশে ভাসমান ব্যবসার কারণে যানজট ও জনদুর্ভোগ বাড়ছে। বিশেষ করে লালখান বাজার এলাকায় অবৈধ অস্থায়ী দোকানপাটের কারণে চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। তিনি এসব ব্যবসায়ীকে দ্রুত উচ্ছেদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপ্রধান প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।