সিলেটে সাদাপাথর উদ্ধার অভিযানে সাড়ে তিন লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ


সিলেটে সাদাপাথর উদ্ধার অভিযানে সাড়ে তিন লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

সিলেটে তৃতীয় দিন ধরে সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাথর উদ্ধার করা হয়। বিশেষ করে ধোপাগুল এলাকার একটি স্থান থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশার মিল ও আশেপাশের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর উদ্ধার করেছে জেলা টাস্কফোর্স। দুপুরে ধোপাগুল এলাকার বিভিন্ন ক্রাশার মিল ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করে পাথরগুলো উদ্ধার করা হয়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, তিন দিনে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাথর পুনরায় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে ফিরিয়ে ফেলা হয়েছে। শুধু শনিবারই প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ঘনফুট পাথর পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে ধোপাগুলে অভিযান পরিচালনা করে মহালধিক গ্রামের বসতবাড়ি ও ক্রাশার মিলের আশেপাশে বালুমাটির নিচে ঢাকা অবস্থায় থাকা আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। ইউএনও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং উদ্ধারকৃত পাথর পুনরায় সাদাপাথর এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, পাথর লুটপাট রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, শনিবার অভিযান চালিয়ে ৩৯টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি এলাকা থেকে পাথর জব্দ করা হয়েছে এবং সাদাপাথর এলাকায় সাড়ে ১০ হাজার ঘনফুট পাথর পুনরায় ফেলা হয়েছে।

একই দিনে গোয়াইনঘাটের ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি এলাকা থেকে ২৫০০ ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করা হয়। গোয়াইনঘাটের ইউএনও রতন কুমার অধিকারী এই অভিযান পরিচালনা করেন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার উজ জামান জানান, তিনদিনের অভিযানে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাথর পুনরায় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে ফেলা হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×