দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও কৃষক দল নেতার মাথা ফাটানোর দায়ে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:০৩ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কৃষক দল নেতার মাথা ফাটিয়ে বহিষ্কার হলেন বিএনপির এক নেতা। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই বিএনপি নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত মিজানুর রহমান প্রধানকে ৩ জুলাই অনুমোদিত গোয়ালমারী ইউনিয়ন বিএনপির পাঁচ সদস্যের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।
শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম।
উপজেলা বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, দাউদকান্দি উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও গোয়ালমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন তালুকদারের উপর গত ৩ জুলাই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মিজানুর রহমান প্রধানের নামে ইন্ধন, মদদ ও নির্দেশনার অভিযোগ উঠে। এরই প্রেক্ষিতে তাকে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়া, স্থানীয় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রতীয়মান হওয়া এবং দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় মিজানুর রহমান প্রধানকে গোয়ালমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় দাউদকান্দি উপজেলার আওতাধীন গোয়ালমারীসহ ৯টি ইউনিয়নে বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় দাউদকান্দি উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও গোয়ালমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন তালুকদারের উপর কিছু সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই হামলার পেছনে মিজানুর রহমান প্রধানের সরাসরি ইন্ধন ও নির্দেশ ছিল বলে অভিযোগ উঠে।
দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিজানুর রহমান প্রধানের লোকজন উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আহমেদ হোসেন তালুকদারের উপর হামলা চালানোসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য তাকে শোকজ করেছিলাম। তিনি জবাব দিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য না। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এই বহিষ্কারই প্রমাণ করে, কোনো চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসের স্থান বিএনপিতে হবে না। বিএনপি কখনো কোনো অন্যায়কারী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবে না।