অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কাটার আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে


8u09rir087uf03rfiue.jpg

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরেও লতিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নিয়ামুল হক মন্ডলের নেতৃত্বে কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। অভিযোগ উঠেছে দৈনিক ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে কৃষি জমির মাটি বিক্রির মৌখিক অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বেড়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ভেকু দিয়ে অনবরত কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানায়, গত দুই বছর থেকেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের বেড়াপাড়া এলাকায় অনবরত ড্রেজার ও ভেকু লাগিয়ে কৃষি জমির বালু মাটি করে আসছে লতিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নিয়ামুল হক মন্ডল।সরকার পটপরিবর্তনের পরে ৬ মাস বালু মাটির ব্যবসা বন্ধ থাকলেও স্থানীয় বিএনপি রাজনৈতিক পরিচয়দানকারী রাসেল,হাসান,জামান,চন্দনের নেতৃত্বে দুই মাস থেকে পুনরায় অবৈধ বালু মাটির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে আওয়ামীলীগের এই নেতা।

এদিকে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তায় অনবরত ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের ফলে দুই কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ মে এই স্থানে মিঠাপুকুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুলতামিস বিল্লাহ অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অবৈধ বালু মাটি বিক্রির দায়ে দুইজনকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। অভিযানের পর ৯ দিন বালু মাটি কাটা বন্ধ থাকার পরে দৈনিক ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়ার শর্তে কথিত নেতা ও সাংবাদিকের সুপারিশে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুনরায় মঙ্গলবার (৩ জুন) ভেকু লাগিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি শুরু করে আওয়ামীলীগ নেতা নিয়ামুল হক মন্ডল ও তার লোকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালু মাটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, দৈনিক ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে স্থানীয় কথিত সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদের সুপারিশে ইউএনও এর মৌখিক অনুমতি নিয়ে অভিযানের পরে পুনরায় অবৈধ বালু মাটি বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছে রাসেল,হাসান,জামান ও চন্দন। আড়ালে থেকে সবকিছুর কলকাঠি নাড়ছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নিয়ামুল হক মন্ডল। অভিযোগ দিলেও উপজেলা প্রশাসন করবে নাহ অভিযান। সর্বোচ্চ প্রশাসন দিবে সতর্কবার্তা। তখন অভিযোগকারীকে ম্যানেজ করে পুনরায় বালু মাটি বিক্রি চালিয়ে যাবে এই সিন্ডিকেট।

এবিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নিয়ামুল হক মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মুলতামিস বিল্লাহ জানান, আমরা কাউকে বালু মাটি কাটার অনুমতি দেইনি। এবিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×