মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
- মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:৪০ পিএম, ২৫ মে ২০২৫

মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে হোসাইন (৭) নামে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে ওই শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বজন ও পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে প্রতিবেশী চাচা আরিয়ান ওরফে মাহিম (২০)। পরে তারই দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নের পলাশপুর এলাকায় একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হোসাইন (৭) উপজেলার ডুলিহাটা গ্রামের মো. জুয়েল-মোছা.সালমা বেগম দম্পতির সন্তান। সে আড়িয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
টঙ্গিবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে খেলাধুলা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন নিহত হোসাইন। সেদিন রাত হয়ে গেলেও হোসাইন বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এরপর একপর্যায়ে স্থানীয়রা জানান যে, প্রতিবেশী চাচা আরিয়ান ওরফে মাহিমের সঙ্গে সাইকেলে করে ঘুরতে দেখা গেছে মাহিমকে।
পরে মাহিমের বাবা লোকজন নিয়ে প্রতিবেশী চাচা মাহিমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি তার মায়ের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্কুলছাত্র হোসাইনকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা পর জঙ্গলে ফেলে রেখেছে বলে স্বীকার করে।
পরে মাহিমের মা এসব তথ্য নিহতের পরিবারের লোকজনদের গতকাল শনিবার রাত দেড়টার দিকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ রোববার সকালে মাহিমকে (২০) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে, এরপরে তারই দেখানো জায়গা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
ওসি জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আরিয়ান ওরফে মাহিম (২০) পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।