কোরবানির জন্য আলোচনায় ‘বগুড়ার ডন’


d738b64fd8c730c84427f790dd421b0859b33f691c12e079.jpg

বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের দোগাড়িয়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুলের খামারে লালন-পালন করা হয়েছে এক বিশালাকৃতির গরু, যার নাম ‘বগুড়ার ডন’। রবিউলের ছোট ছেলের দেওয়া এই নামেই এলাকায় পরিচিতি পেয়েছে পশুটি। দুই বছর ধরে সযত্নে বড় করে তোলা গরুটির ওজন এখন প্রায় ১,১০০ কেজি বলে জানিয়েছেন মালিক।

গরুটির দাম চেয়েছেন ১৫ লাখ টাকা, যদিও ক্রেতারা সর্বোচ্চ ১২ লাখ পর্যন্ত প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রতি বছরের মতো এবছরও কোরবানির হাটে নজরকাড়া গরু দেখা যাচ্ছে, তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই ‘বগুড়ার ডন’। শাহীওয়াল ক্রস জাতের এই গরুটি শুধু আকারে বিশাল নয়, আচরণেও শান্ত ও অনুগত।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় এবার সাত লাখ ৪৬ হাজার পশু কোরবারিন জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর খামারের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর জেলায় গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ পালনের খামার ছিল ৪৮ হাজার। এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজারে। একই সঙ্গে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এবার সাড়ে সাত লাখ পশু প্রস্তুত আছে।

তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল জানিয়েছেন, গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করেননি। প্রাকৃতিক খাবার খড়, ধানের গুড়া, ভুষি, ভাত ও পানি খাইয়েছেন। প্রতিদিন গরুটির খাবারের পেছনে খরচ হয় ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা। শান্ত স্বভাবের কারণে গরুটিকে লালন-পালন করাও ছিল সহজ। তার ভাষ্য, ব্যবসার পণ্য মনে করে নয়, নিজের সন্তানের মতো আদরে বড় করেছেন প্রাণিটি।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×