মেরাদিয়ায় কোরবানির পশুর হাট চালুর দাবিতে বিশাল সমাবেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:২০ পিএম, ১৭ মে ২০২৫

রাজধানীর মেরাদিয়ায় ঐতিহ্যবাহী কোরবানির পশুর হাট চালুর দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মেরাদিয়াসহ কয়েক এলাকার বাসিন্দারা।
শনিবার (১৭ মে) মেরাদিয়া ১০তলা মার্কেট প্রাঙ্গণে মেরাদিয়া, খিলগাঁও, বনশ্রী ও রামপুরা এলাকার বাসিন্দারা এই সমাবেশটি করেন।
সমাবেশে এলাকাবাসী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘কোরবানীর পশুর হাট বন্ধ করা ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্র’, ‘কোরবানীর হাট কোন সমস্যা নয়, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা চাই’, ‘কোরবানির হাট বন্ধ করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’, ‘ধর্ম পালন করার অধিকার প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার’, ‘কোরবানির হাট অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে’, ‘একমাত্র ভারতের দালালরাই কোরবানীর হাট বন্ধ করতে চায়’, ‘শাহজালালের বাংলায় কোরবানীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানব না’, ‘পূজার মণ্ডপ কাছে, কোরবানির হাট কেন দূরে?’, ‘হাটের সংখ্যা হ্রাস নয়, বৃদ্ধি করো’, ‘জনবহুল ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত হাট নেই’, ‘কোরবানির হাট দূরে থাকলে পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি পায়’, ‘মুসলমানদের কষ্ট দেয়ার জন্যই কোরবানির হাটগুলোকে দূরে সরানো হয়’, এবং ‘দূরে গেলে কোরবানির হাট, নিরাপত্তার হয় বড় অভাব’।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোরবানির পশুর হাট বন্ধ করার চেষ্টা ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্র। তারা বলেন, কোরবানির হাট কোনো সমস্যা নয়, বরং এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সকল অসুবিধা দূর করা সম্ভব। বক্তারা আরও বলেন, কোরবানির হাট বন্ধ করার চেষ্টা এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল এবং ধর্ম পালন করার অধিকার প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার।
বক্তারা আরও বলেন, কোরবানির পশুর হাট শুধু ধর্মীয় অনুষঙ্গই নয়, এটি দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করে। যারা কোরবানির হাট বন্ধ করতে চায়, তারা এদেশের শত্রু এবং একমাত্র ভারতের দালালরাই এমন কাজ করতে পারে। শাহজালালের বাংলায় কোরবানির বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে বক্তারা আরও প্রশ্ন তোলেন, পূজার মণ্ডপ যদি কাছে হতে পারে, তাহলে কোরবানির হাট কেন দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? তারা বলেন, জনবহুল ঢাকা শহরে কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমানো নয়, বরং বাড়ানো উচিত। হাট দূরে সরিয়ে নেওয়ার কারণে একদিকে যেমন পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি পায়, তেমনি অন্যদিকে ক্রেতাদের দুর্ভোগ বাড়ে এবং নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, মুসলমানদের কষ্ট দেওয়ার জন্যই কোরবানির হাটগুলোকে দূরে সরানো হচ্ছে। দূরে হাট থাকার কারণে পশু কিনতে যাওয়া ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা।