নেপালে গেল ৫০৪ মেট্রিক টন আলু


নেপালে গেল ৫০৪ মেট্রিক টন আলু

দেশের একমাত্র চতুদেশীয় (বাংলাদেশ,নেপাল, ভারত ও ভূটান) স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে নতুন করে একদিনে সর্বোচ্চ ৫০৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে এ স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে আলু রফতানি হয়ে আসছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপিল) বিকেলে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে কয়েকটি ট্রাকে এক দিনে সর্বোচ্চ ৫০৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে।

এর আগে, গতকাল (২২  এপ্রিল) বন্দরটি দিয়ে ৩৯৯ মেট্রিক টন আলু রপ্তানী হয়৷ এ নিয়ে সর্বোমোট ৬২৩৭ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি

তবে আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাল মানের আলো সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরিক্ষার করে পরবর্তীতে নেপালে রফতানি করা হচ্ছে। আমিন ট্রেডার্স,ঈশান এগ্রো, থিংকস টু সাপ্লাই,জাফরান ট্রেডার্স,কাউস এগ্রো ফাস্ট ডেলিভারি,সুকলা মাল্টি প্রডাক্ট লিমিটেড,স্বাধীন এন্টার প্রাইজসহ বেশ কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু নেপালে রফতানি করছে৷ আলোগুলোর জাত ছিল,এস্টারিক্স ও লেডিয়োলো। এতে আলু নিয়মিত রফতানি হতে থাকলে বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন ও দেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের আলুর দাম পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, চতুর্দেশীয় এ বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।

বন্দেরের সিএন্ডএফ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশের আলু নেপালে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা নিয়মিত আলু নেপালে রপ্তানি করছি। এতে আমরা কৃষক,ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছেন। 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গোনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আলুগুলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাকযোগে আসলে আমরা আলুগুলো আগে পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পরে বন্দর হয়ে ভারত হয়ে নেপালে যাচ্ছে  আলু। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৫০৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে যাচ্ছে। এভাবে যদি প্রতি বছরে আলু রপ্তানি হয় তাহলে কৃষল,সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই  লাভবান হবে৷ 

এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হয়ে থাকে । নতুন পণ্য হিসেবে আলু রপ্তানি হচ্ছে । এতে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×