শাহ সুফি নুর মোহাম্মদের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত


April 2025/Shah Sufe.jpg

মাদারীপুরের নূর পখীরার পীর আল্লামা শাহ সুফি নুর মোহাম্মদের (রহ.) জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে শহরে কুকরাইল এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর আহমদিয়া কামিল এমএ মাদরাসার অডিটোরিয়ামে পখীরার বর্তমান পীর শাহসুফি মাওলানা মুফতি ইমরান বীন নুরের সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি ও গবেষক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ জামী।

নূর মোহাম্মদিয়া গবেষণা পরিষদের আয়োজনে মাওলানা শওকত আলী নুরের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন মরহুম পীর সাহেবের (রহ.) প্রবীণ ও নবীন ভক্ত-মুরীদান, আলেম-ওলামা, গবেষক, চিন্তাবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও উত্তরসুরীগণ।

সভায় মরহুমের মহৎ ও দীর্ঘ জীবনের বিচিত্র দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, ‘আল্লামা নুর মোহাম্মদ (রহ.) ছিলেন যুগশ্রেষ্ট আলেম, আবেদ, যাহেদ সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, সংগ্রামী, সাহসী ও সমাজ সংস্কারক।’

তিনি মাদারীপুরের অজপাড়া পখিরায় পঞ্চাশ দশকেই কায়েম করে ছিলেন উচ্চ শিক্ষার আলিয়া মাদ্রাসা। যা এক সময় চরমোনাই আলিয়া ও বাহাদুরপুর আলিয়া মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল। আড়িয়াল খা নদীতে বিলীন হওয়ার পরে কুকরাইল এলাকায় স্থানান্তর হয়ে বর্তমানে মসজিদ,মাদ্রাসা,খানকা ও হেফজ খানাসহ এটি এখন একটি বহুমুখী কমপ্লেক্সে রুপ নিয়েছে। ১৯১০-১৯৯৬ দীর্ঘ এই ৮৬ বছরে তিনি পখিরা দরবারের বাইরেও অগনিত মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা প্রতিষ্ঠা করেন।

দাওয়াত, তালিম,তাবলীগ ও তারবিয়্যাতের মাধ্যমে তিনি হাজার হাজার আল্লাহ ভোলা মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসেন। শরিয়তী শিক্ষার বাইরে তিনি আধ্যাতিকতার উচ্চতর চর্চা ও তালিম পরিচালনা করতেন। তার রয়েছে হাজার হাজার কারমত এবং তার পক্ষে অগণিত লোকের স্বাক্ষ প্রমাণ। জীবিত বহুমুরিত এখনও কাশফ ও কারামাতের অধিকার বহন করছেন।

দুঃস্থ ও অভাবিকে তিনি হাত খুলে দান করতেন। পক্ষান্তরে ভক্ত ও মুরিদদের কাছে তিনি হাত পাততেন না।

প্রচুর পরিমাণ জিকির করতেন এবং করাতেন। দুনিয়া ও আখেরাতের বিচিত্র সব সমস্যা সমাধান খুঁজতেন জিকির ও দুরুদের মধ্যে। মুরিদদেরকে তিনি বিনয়ের চর্চা করাতেন। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে হালাল ও সুন্নাতের উপর টিকিয়ে রাখতে ভক্ত মুরিদদেরকে নিয়ে অটল থাকতেন। আড়িয়াল খাঁর কবল থেকে মাদারীপুর শহরকে বাঁচাতে সর্বপ্রথম তিনিই মন্ত্রী/প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

১৯৯৬ থেকে এ পর্যন্ত তার জীবনির উপর ছোট বড় তিনটি গ্রন্থ এবং একটি স্মৃতি স্মারক প্রকাশিত হয়। ২০২৫ সালে একটি সম্মৃদ্ধ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয় এবং পাঁচটি প্রকাশনার উপর ভিক্তি করে অচিরেই একটি মজবুত ও সুশৃঙ্খল জীবনী গ্রন্থ প্রকাশের দায়িত্ব অর্পিত হয় গ্রন্থ প্রণেতা ও লেখক ও গবেষক মাওলানা মহিববুল্লাহ জামে উপর।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×