ধর্ষণের অভিযোগে আটকের পর থানা হাজতে ‘আত্মহত্যা’


ধর্ষণের অভিযোগে আটকের পর থানা হাজতে ‘আত্মহত্যা’

ভোলায় ধর্ষণের অভিযোগে আটক এক ব্যক্তি ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে সদর মডেল থানা হাজতে ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তার বাড়ি সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার বিকালে তাকে আটক করেছিল পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে এক প্রতিবেশীর বাড়ির ফ্রিজে মাংস রাখতে যায় হাসান। সেখানে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এলাকাবাসী তাকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ হাসানকে আটক করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসার পর রাত ৮টার দিকে থানা হাজতে রাখা হয়। রাত ১২টা ১৮ মিনিটে হাজতে থাকা জায়নামাজ গলায় পেঁচিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘থানার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, জায়নামাজ গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে হাসান। পরে লাশ মর্গে পাঠানো হয়।’

‘অপরদিকে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ এখন ভোলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×