প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া সোহাগের খোঁজে পুলিশ
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৩:০৯ এম, ০৮ মার্চ ২০২৫

ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেনি কোনো পক্ষই। সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিপক্ষের দিকে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া যুবকের পরিচয় মিলেছে। কিন্তু তাকে এখনও আটক করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সোহাগ নামে ওই যুবককে আটক ও আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়া আলোচিত সোহাগের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী দক্ষিণপাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। সোহাগ নিজেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের ফুফাতো ভাই বলে পরিচয় দেয়।
নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনের ভাষ্য, সোহাগ অবৈধ অস্ত্রধারী। সে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। সাগরের আত্মীয় হওয়ায় সোহাগ তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগী। তাই সাগরের ক্যাডার বাহিনীর নেতৃত্বও দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ পুরাতন থানার পশ্চিম পাশে ডিএনডি সেচ খাল এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় খালের সেতু থেকে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীর প্রতি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে সোহাগ।
রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসীকে আমি কখনোই প্রশ্রয় দিইনি, দেব না। সোহাগের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। এই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।’ তাঁকে বিতর্কিত করতেই তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনায় সে (সোহাগ) সংঘর্ষের সময় এমন কাজ করেছে বলেও মনে করেন সাগর।
আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির কয়েকটি পক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাকিবুর রহমান সাগরের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয় নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহআলম মানিক ও রুহুল আমিনের লোকজনের সঙ্গে। এ সময় আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে ডিএনডি সেচ খালের সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায় সোহাগকে। এ দৃশ্য শুক্রবার একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। পরে ছবিটি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। টনক নড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম। তিনি বলেন, পরিচয় জানার পরই অস্ত্রধারী ওই যুবককে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।