গরু চুরি করে বিএনপির নেতা ও তার স্ত্রীর ভূরিভোজের আয়োজন, অতঃপর...
- জামালপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:১৭ পিএম, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কৃষকের গরু চুরি করে কর্মী-সমর্থকদের আপ্যায়ন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মিয়া (৪০) ও কসাই বজলুর রহমান (৩৫)।
অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী ছয় নম্বর আদারিভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের অর্থ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদিক লায়লা খাতুন ইতি। মাহমুদুল হাসান মুক্তা গ্রামীণ ব্যাংক শেরপুরের ভেনুয়া শ্রীবর্দী শাখার ব্যবস্থাপক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক এফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শনিবার সকালে মাদারগঞ্জ উপজেলার জুনাইল রাইসিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা মাঠে উপজেলা ও পৌর মহিলা দল নারী সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সমাবেশে অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের জন্য উপজেলার দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামে ভূরিভোজের আয়োজন করেন আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের অর্থ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদিক লায়লা খাতুন ইতি।
এ দিকে, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে মাদারগঞ্জ উপজেলার জোরখালী ইউনিয়নের খামার মাগুরা গ্রামের কৃষক এফাজ উদ্দিনের গোয়াল ঘর থেকে একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়। এফাজ উদ্দিনসহ তার প্রতিবেশীরা গরু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে শনিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামের মাহমুদুল হাসান মুক্তার বাড়িতে লোকজনের সমাগম দেখতে পান। পরে সেখানে গিয়ে এফাজ উদ্দিন জবাইকৃত গরুর চামড়া দেখে তার গরুটি শনাক্ত করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গরুর চামড়াসহ কসাইকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এফাজ উদ্দিন।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমন মিয়া ও বজলুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী ও লায়লা খাতুন ইতি কৌশলে পালিয়ে যান। পরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভুরিভোজের জন্য রান্না করা বিরিয়ানি স্থানীয়রা ভাগাভাগি করে নিয়ে যান।
মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খান জানান, মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বিষয়টি আমরা শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ নিয়ে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘গরুটির মালিক এফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’