কাজে গাফিলতির জন্য চাকরিও যেতে পারে: মেয়র শাহাদাত


কাজে গাফিলতির জন্য চাকরিও যেতে পারে: মেয়র শাহাদাত

প্রতিটি নাগরিকের প্রাপ্য সেবার অধিকার থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী বঞ্চিত করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক প্রস্তাব গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। 

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সাত নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন ও হাজিরা যাচাইকালে এ ঘোষণা দেন মেয়র।  

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি নাগরিকের সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অথচ, আজকেও আমরা কয়েকজন কর্মচারী চিহ্নিত করেছি, যারা কাজ করছে না বা ফাঁকিবাজি করছে। পূর্বের সরকারের সময় যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকে দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। আমরা এই ধরনের কর্মীদের জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ দিব, যাতে কাজের মান উন্নত হয়। যারা নাগরিকদের প্রাপ্য সেবা দিতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি চাই, সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করুক। কারণ, আমি জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।’

‘আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আমার ওয়ার্ডগুলোতে কার্যক্রম ঠিকমত হচ্ছে কিনা যাচাই করছে। কিন্তু, ওয়ার্ড ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়েও আমি এখনো পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট নই। এখনো আমার লক্ষ্যের ৩০-৪০ শতাংশও অর্জন হয়নি। এটাকে যখন ৮০-৯০ শতাংশে যখন নিতে পারব, তখনই মনে করব আমি সন্তুষ্ট। গত সরকার আমলে যারা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিল, তারা নিজেদের কিছু লোককে এখানে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাদের একটি অংশ ফাঁকিবাজি করছে, কাজ করছে না।’
 
পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের সতর্ক করে চসিকের মেয়র বলেন, ‘পরিমাণে মশার ওষুধ আমাদের কাছে আছে।  মশার ওষুধের জন্য চিন্তার কিছু নেই। যত লাগে দিবে। কিন্তু মশার ওষুধ মারতে হবে। আমার মূল কথা হচ্ছে, এটা স্প্রে করতে হবে। মানুষের দুর্ভোগ যাতে বন্ধ হয়। যারা ফাঁকিবাজি করবে, আমরা প্রত্যেকটা জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি বারবার বলছি, শীতকাল যত দিন থাকবে, কিউলেক্স মশা বাড়তে থাকবে। এ মশাগুলো খুবই ডিস্টার্ব করবে। তাই, মানুষের দুর্ভোগ যাতে না হয়, এ ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর এবং সবাইকে এ ব্যাপারে কাজ করার জন্য সচেষ্ট থাকার জন্য আমি জোর অনুরোধ করছি। অন্যথায়, কাজের গাফিলতির জন্য কারো কারো চাকরিও চলে যেতে পারে।’

হাজিরা গ্রহণ শেষে মেয়র ওয়ার্ড কার্যালয়স্থ আরবান হেলথ সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন,  ‘এখানে  ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাতৃসদন সেন্টার করার পরিকল্পনা আছে আমার। যেহেতু আমাদের এখানে কিছুটা জায়গা রয়েছে, তাই আমরা এই এলাকার রোগীদের জন্য একটি ছোট মাতৃসদন সেন্টার করার চেষ্টা করছি। যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে এ ধরনের সেন্টার চালু করা যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের কাছে আরও সহজে পৌঁছে যাবে বলে মনে করি। বর্তমানে এখানে নিয়মিত ৪০-৫০ জন রোগী দেখা হয়। তবে, আমি চাই, এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০-২০০ জনে উন্নীত করা হোক। এ রকম সুন্দর একটি জায়গায় এত কম রোগী কেন আসে, সেটা  আমার বোধগম্য নয়। এ জন্য আমি আরও বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছি।’ 
 
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন সেলিম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×