রাজশাহীতে সমন্বয়ক পরিচয়ে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি, জনতার হাতে গণধোলাই


News Defalt/rajsahi_20241121_222932710.jpg

রাজশাহীতে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করছিলেন সোহেল রাজ নামে জাসদ ছাত্রলীগের এক নেতা। অবশেষে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ধরা পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর কালেক্টরেট মাঠ এলাকায় তাকে গণধোলাই দেয় ছাত্র জনতা। পরে পালিয়ে গিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন সোহেল। 

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয় সোহেল। এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরীর সমন্বয়কদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। এসব ছবি দেখিয়ে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করতে থাকেন। বিষয়টি জানতে পেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা একাধিকবার তাকে সর্তক করেন। তারপরও নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন সোহেল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার তাকে শিক্ষার্থীরা সর্তক করলে তাদের সঙ্গে বির্তকে জড়ান। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাতে পিটুনি খান তিনি।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শঙ্কর কে বিশ্বাস বলেন, সোহেল নামে একজন ভর্তি হয়েছেন। তিনি নিজেকে সমন্বয়ক বলছিলেন। তিনি জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন। তবে গুরুতর কোন ইনজুরি নেই। কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে।

এদিকে সোহেল রাজের অভিযোগ, তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মিটিং থেকে বাসার দিকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবীর হোসেন ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল রহমান সৌরভ বলেন, সোহেল খুব ধ্রুত প্রকৃতির ছেলে। হঠাৎ করে বিজয়ের পর আর্বিভাব হয়ে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে সরকারি দফতরগুলোতে গিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে। অথচ সে জাসদ ছাত্রলীগের নেতা। তার বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা আছেন তারাই তাকে পিটিয়েছে। এখানে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শঙ্কর কে বিশ্বাস বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে সোহেল রানা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি নিজেকে সমন্বয়ক বলে দাবি করেছেন। জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন। তবে গুরুতর কোনও ইনজুরি নেই। কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে।’

এদিকে, সোহেল রাজ জাসদ ছাত্রলীগের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি নিজেকে ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক দাবি করলেও অন্য সমন্বয়করা বলছেন, সোহেল নামের কোন সমন্বয়ক নেই। এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাশেদ রাজন বলেন, সোহেল নামের কোন সমন্বয়ক রাজশাহীতে নেই। ঘটনাটি শুনেছি। আলোচনা করে তার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবা হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×