ডাকসু নেতাকে ক্যান্টিনে জরিমানা করার অধিকার কে দিল, প্রশ্ন হামিমের
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:৩১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। খাবারের মান নিম্নমানের হওয়া এবং কর্মচারীদের হাফপ্যান্ট পরে কাজ করার অভিযোগে নবনির্বাচিত হল সংসদের ভিপি আজিজুল হক সরাসরি ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ক্যাফেটেরিয়ার কর্মচারীরা আর হাফপ্যান্ট পরে কাজ করতে পারবেন না। এ ছাড়াও খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ম্যানেজারকে জরিমানা করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়টি ঘিরে সম্প্রতি এক টকশোতে নিজের মতামত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পরাজিত জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম।
তিনি বলেন, “আমরা যদি বিষয়টি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি, অনেকে বলছেন হাফপ্যান্ট নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদ হয়েছে। তবে আমি মনে করি শিক্ষার্থী হিসেবে, ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজন হিসেবে ভিপির প্রতিবাদটা যৌক্তিক। প্রতিবাদ করার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু ভাষাটা আরও শালীন ও মার্জিত হতে পারত।”
হামিম আরও বলেন, “আমাদের হলে খাবারের মান সত্যিই খুব খারাপ। শিক্ষার্থীরা অনেক সময় পুষ্টিহীনতায় ভোগে। ক্যান্টিন মালিকদের সদিচ্ছার অভাবেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমি নিজেও নির্বাচনের আগে বিভিন্ন হলে গিয়ে খাবারের মান যাচাই করার চেষ্টা করেছি।”
তবে ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজারকে জরিমানা করার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তিনি। “ডাকসুর ভিপি, জিএস কিংবা প্রেসিডেন্ট—কাউকেই এই ধরনের জরিমানার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। ডাকসুর গঠনতন্ত্রেও এ ধরনের এখতিয়ার নেই। হল সংসদের নেতাদের কাজ হলো সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে হল প্রশাসনকে জানানো এবং তা সমাধানে উদ্যোগী হওয়া। জরিমানা করা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ,” মন্তব্য করেন হামিম।
তিনি আরও আহ্বান জানান, “ডাকসুর নেতারা যেন এখতিয়ার ছাড়িয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেন। আমাদের আন্দোলন ও প্রতিবাদ ক্ষমতার ভেতরে থেকেই করতে হবে। এমন কোনো কাজ করা উচিত নয় যা ডাকসু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে।”