রাকসু নির্বাচনে হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি


রাকসু নির্বাচনে হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপি প্রতিরোধে হাতে ভোট গণনাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের প্রার্থীরা। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে নানা পরামর্শ দেন। অন্যদিকে দুপুর দেড়টার দিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে, ভোট গ্রহণ হবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে।

ছাত্রদলের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট গণনা হাতে (ম্যানুয়ালি) করতে হবে; ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে ভুয়া ভোট ঠেকাতে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে বৈধ কার্ডধারী ছাড়া কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না, এজন্য কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে নির্বাচনে অবৈধ অর্থের প্রভাব ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সব প্রার্থীর জন্য সমান আচরণবিধি প্রয়োগ করতে হবে।

ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন (আবির) বলেন, ম্যানুয়ালি ভোট গণনা সময়সাপেক্ষ হলেও পর্যাপ্ত জনবল থাকায় তা সম্ভব। ভোট বর্জনের প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা পরিস্থিতিই বলে দেবে। আমরা চাই না নির্বাচন বর্জন হোক। চাই নির্বাচন সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হোক।

তিনি আরও বলেন, এই দাবিগুলো শুধু ছাত্রদলের নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়েই উত্থাপন করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, দাবিগুলো না মানলে কেবল ছাত্রদল নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারাও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করেন। ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে কিছু ত্রুটি ছিল। এবার যাতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়, সে বিষয়ে আমরা পরামর্শ দিয়েছি।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচনটা পেছানো হোক। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। যদি সময় পিছিয়ে দেওয়া যেত, তাহলে নির্বাচন আরও সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতো।

অন্যদিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মো. সেতাউর রহমান দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা কোনো পক্ষের দাবিতে নয়, বরং আমাদের নিজস্ব বিশ্লেষণের ফলেই এ সিদ্ধান্ত।

ছাত্রদলের দাবি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের দাবিগুলো গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিষয় বাদে বাকি দাবিগুলো নিয়ে কমিশন বিবেচনা করবে। তবে এই সময়ে হাতে ভোট গণনা বেশ জটিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনেও তা দেখা গেছে। আমরা চাই রাকসু নির্বাচন হোক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×